Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৬ ঘণ্টা কর্মদিবসে বাড়ে উৎপাদন ক্ষমতা

প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ৮-১০ কর্মঘণ্টার পরিবর্তে তা যদি কমিয়ে আনা হয় তাহলে উৎপাদন বাড়ে ও যারা কাজ করেন তারা অনেক বেশি সুখী হন এবং বেড়ে যায় তাদের উৎপাদন ক্ষমতা। সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে। সুইডেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গুটেনবার্গের একটি অবসরযাপন কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৬ ঘণ্টায় আনা হয়। এতে দেখা যায়, রোগীদের যতœ নেওয়ার ক্ষেত্রে সেবিকাদের মানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং কর্মচারীদের নৈতিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর যেসব সেবিকা ৮ ঘণ্টা করে দিনে কাজ করেছেন তারা আগের তুলনায় অন্তত ২০ শতাংশ বেশি সুখী। কর্মক্ষেত্র ও অবসর সময়ে তাদের উদ্যম বেড়েছে আগের তুলনায়। এ সময় সেবিকাদের অসুস্থতার জন্য ছুটি নেয়াও কমে যায়। যুক্তরাজ্যের ডেইলি টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়েছে, দেশটির দশ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মধ্যে ছয়জন মনে করেন কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনলে কর্মীদের উৎপাদনক্ষমতা বাড়বে। স্বাস্থ্য সাময়িকী ল্যানচেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে হৃদরোগের মতো কঠিন অসুখের জন্ম হয়। গবেষণাটির কাজে নিয়োজিত বেন্থ লরেন্টজন জানান, যদি সেবিকারা কর্মস্থলে বেশি সময় দেন এবং আরও সুস্থ থাকেন তাহলে বুঝতে হবে তাদের মানের উন্নতি হয়েছে। গুটেনবার্গ শহরে গাড়ি নির্মাতা টয়োটা কোম্পানির শাখাতেও এক দশক আগে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, টয়োটা কোম্পানির কর্মীরা আগের চেয়ে বেশি সুখী এবং কোম্পানির মুনাফাও বেড়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৬ ঘণ্টা কর্মদিবসে বাড়ে উৎপাদন ক্ষমতা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ