নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, বাহফে’র বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব এ,কে,এম মমিনুল হক সাঈদ। তথ্যটি বুধবার ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেন তিনি।
নতুন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি দায়িত্ব গ্রহণের পর যেন সু-বাতাস বইতে শুরু করেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে গেল ৬ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রী পরিষদে অন্তর্ভুক্ত হয়ে পরের দিন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই রাসেল অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে। ঘোষণা দেন অচিরেই ফেডারেশনগুলোর দায়িত্ব নেবে নির্বাচিত কমিটি। প্রতিমন্ত্রীর এ ঘোষণায় যেন নড়েচড়ে বসে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরই রেশ ধরে তারা গত ৮ জানুয়ারি ঘোষণা করে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন নির্বাচনের তফসিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচন। এবার পালা হকির। এনএসসি’র বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, খুব শিঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে বাহফের নির্বাচনও। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বলেছে এনএসসি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাউন্সিলরশিপ চুড়ান্ত করার জন্য তারা বাহফে’কে নির্দেশ দিয়েছে।
এ,কে,এম মমিনুল হক সাঈদ বর্তমানে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক পরিচিত নাম। গত কয়েক বছরে সংগঠক হিসেবে দারুণ সাফল্য পেয়েছে তিনি। বাহফের অ্যাডহক কমিটির সহ-সভাপতি ছাড়াও সাঈদ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি। প্রিমিয়ার হকিতে এক মৌসুম আগের শিরোপা জয়ী ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের হকি কমিটির চেয়ারম্যান। আরামবাগ ফুটবল একাডেমীর নেতৃত্বেও আছেন তিনি। ফুটবল ও হকির পাশাপাশি বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন এই ক্রীড়া সংগঠক।
হকির নির্বাচন নিয়ে সাঈদ বলেন,‘আমি দেশের হকির সেবা করার লক্ষ্যে আগামী চার বছর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই। তাই হকি ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদেই প্রার্থী হতে আগ্রহী।’ তিনি আরো বলেন,‘খেলাধুলা ভালবাসি বলে দেশের ফুটবল, হকি ও হ্যান্ডবল সহ বিভিন্ন ক্রীড়ায় নিজেকে সরাসরি জড়িয়ে রেখেছি আমি। প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ হকি লিগের ৭টি ক্লাব চলে আমার পৃষ্ঠপোষকতায়। এক বছর হকি ফেডারেশনে কাজ করে বুঝেছি ক্রিকেটের পরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সাফল্য পেতে পারে হকিতেই। অবশ্য এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও অনুশীলন। আমি মনে করি ভালো মানের বিদেশী কোচের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণে থাকলে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দল আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে।’
মমিনুল হক সাঈদ মনে করেন, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে হকি খেলার প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করে তুলতে হবে। তৃর্ণমুল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণে রাখলে সাফল্য অবশ্যই ধরা দিবে। তিনি বলেন,‘বিকেএসপি দিয়ে আর কত? নতুন খেলোয়াড় বাছাই করে তাদেরকে দীর্ঘ অনুশীলনে রাখলে অবশ্যই ফল পাওয়া যাবে। দেশের সব বিভাগীয় শহরে টার্ফ বসাতে হবে। তাহলেই হকি এগিয়ে যাবে। আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে দেশের হকি উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করে দেব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।