মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগান তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সমঝোতা আলোচনায় নির্ধারিত হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। গত শনিবার (২৬ জানুয়ারি) তালেবানের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন,সমঝোতার বিষয়ে একটি খসড়া চুক্তিও তৈরি হয়েছে। এর আগে আফগান তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে মদত না দেওয়ার ওয়াদা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি কার্যকর হয়ে গেলে অবসান হবে ১৭ বছর দীর্ঘ আফগান যুদ্ধের।
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা
এখন পর্যন্ত কোন যৌথ ঘোষণা না আসলেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিয়জিত বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খালিলজাদ এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, সমঝোতা প্রক্রিয়ায় ‘বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে।’ কাতারে ছয়দিনের বৈঠক শেষে তিনি লিখেছেন, ‘আগের বৈঠকগুলোর তুলনায় এবারের আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে সব কিছুর বিষয়ে ঐক্যমত্য অর্জন করা না গেলে, কোনও কিছুর বিষয়েই সমঝোতা হবে না। আর সমঝোতার সবকিছুই নির্ভর করছে একটি আফগানিস্তানের পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়া এবং অস্ত্র বিরতি কার্যকরের ওপর।’
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে তালেবান। তাদের ধারণা ‘মূল শত্রু’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই আলোচনা হওয়া দরকার। আর তারা সেটাই করছে। যদিও জালমাই খালিলজাদের ভাষ্যে উঠে এসেছে আফগানিস্তানের স্থানীয় পক্সগুলোর মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা। ‘সবকিছুতে একমত হওয়ার’ বিষয়ে খালিলজাদ যে মত ব্যক্ত করেছেন তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেছে আফগান তালেবানের আরেক মুখপাত্রের ভাষ্যে। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মন্তব্য করেছেন, ‘বিদেশি সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত, আলোচনায় কোনও আগ্রগতি অসম্ভব।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, তিনি খালিলজাদের কাছ থেকে সমঝোতার বিষয়ে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক তথ্য জেনেছেন। তার ভাষ্য, ‘যুক্তরাষ্ট্র আসলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আফগানিস্তান যেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রশ্রয়দাতা হয়ে না ওঠে। তাছাড়া আমরা সেনাদেরও ঘরে ফিরিয়ে নিতে চাই।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে, আফগান তালেবান যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা ইসলামিক স্টেটকেও আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে হামলা চালানোর সুযোগ দেবে না।
কাতারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তালেবানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা আব্দুল ঘানি বারাদারকে মুক্তি দিয়েছিল গত বছর, যাকে আটক করেছিল ২০১০ সালে। তবে শেষ পর্যন্ত কাতারের বৈঠকে তিন অংশগ্রহণ করেছেন কি না তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। সমঝোতা চুক্তি নিয়ে আবার কাতারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।