Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের ভোল পাল্টানো দেখে বিস্মিত মার্কিনীরা

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ট্রাম্পের ভোল পাল্টানো দেখে বিস্মিত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় শুরুর পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত ও ঘৃণামূলক মন্তব্য করে মানুষকে বিস্মিত এবং আহত করে আসছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যমে নিজেকে তিনি একজন বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবার যখন সাধারণ নির্বাচন আসন্ন তখন নীতি বদলে হুট করে ভোল পাল্টে ফেলেছেন তিনি। এতদিন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যানডার্স তার প্রধান দুটো নীতির কথা বলে আসছিলেন মার্কিনীদের কাছে। একটি হচ্ছে, খেটে খাওয়া মধবিত্ত শ্রেণির সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির দাবি এবং অন্যটি হচ্ছে পুঁজিবাদীদের উপর করের মাত্রা বৃদ্ধি করা। জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ এই দুটো নীতি খুব বেশি মাত্রায় প্রাধান্য দিচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত ট্রাম্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ মাধ্যমের মধ্যমণি হয়ে থাকা। যে কারণে এই দুই নীতির ঠিক উল্টোটা বলে এসেছেন তিনি। এবার অবস্থা বুঝে নীতি পাল্টে ফেললেন ট্রাম্প। অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঝে নিরঙ্কুশ জয় লাভের পর এবার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তাকে লড়তে হবে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন, নয়তো বার্নি স্যানডার্সের সাথে। এখনো পর্যন্ত হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট দৌড়ে। স্যানডার্স এখনো হিলারির বেশ অনেকটা পেছনে থাকলেও দৌড় থেকে সরে দাঁড়াননি। বাস্তবতা বলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে হিলারির বিরুদ্ধে লড়তে হবে ট্রাম্পকে। এই নতুন প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে কৌশল বদলাতে হবে ট্রাম্পকে। তিনি জানেন, তাকে এবার এমন কথা বলতে হবে যেটা বেশিরভাগ মানুষ শুনতে আগ্রহী। আর ঠিক সেই কাজটিই ইতিমধ্যে করতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। পুরোপুরি ইউটার্ন নিয়েছেন তিনি তার পূর্বের নীতি থেকে।
ট্রাম্প নিজে একজন পুঁজিপতি। তার অনেক ব্যবসাতেই তার বিরুদ্ধে মানুষ ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয় একটি। ট্রাম্পের বাবাও ছিলেন একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ি। পৈতৃক সূত্রে তিনি যেমন অনেক অর্থের মালিক হয়েছেন, তেমনি পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন কৌশলে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি হাওয়া পন্থি। অর্থাৎ ধুরন্ধর মানুষকে কথা দিয়ে ভোলাতে হলে যে চাকচিক্য এবং কথার মারপ্যাঁচ প্রয়োজন সেটা তিনি জানেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শুরুতে মানুষের সামনে নিজেকে তুলে ধরার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো। এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের ভোল পাল্টানো দেখে বিস্মিত মার্কিনীরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ