Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনা দ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ২:১৩ এএম, ১২ মে, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত চীনের মালিকানাধীন বিতর্কিত একটি প্রবাল প্রাচীরের কাছাকাছি পানিসীমায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি রণতরী। এ অভিযানকে ফ্রিডম অব নেভিগেশন বলে বর্ণনা করেছে ওয়াশিংটন। দ্বীপের পাশ দিয়ে যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে যাওয়াকে যাতায়াতের স্বাধীনতা বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌযানটি চীন নিয়ন্ত্রিত ফেইরি ক্রস প্রবাল প্রাচীরের কাছাকাছি রয়েছে বলে মার্কিন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে চীন এ পদক্ষেপকে অবৈধ উল্লেখ করেছে। দেশটির মতে, এ পদক্ষেপ আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। চীন এ অঞ্চলের পুরো নিয়ন্ত্রণ দাবি করে আসছে। সাগরের প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপগুলোর ওপর চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই প্রত্যেকেই দাবি জানিয়ে আসছে। ব্যাপক ড্রেজিং চালিয়ে ফ্রেইরি ক্রস প্রবাল প্রাচীরকে কৃত্রিম দ্বীপে রূপান্তর করেছে চীন। দেশটি কৃত্রিম দ্বীপে ভবন ও একটি বিমানবন্দরও নির্মাণ করেছে। এসব অবকাঠামো বেসামরিক কার্যক্রমের জন্য  তৈরি করা হয়েছে বলে আসছে দেশটি। কিন্তু চীনের এগুলো সামরিক কাজে ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়, চীন-নিয়ন্ত্রিত বিতর্কিত ফেইরি ক্রস রিফের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে গত মঙ্গলবার টহল দেয় গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস উইলিয়াম পি লরেন্স। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র বিল আরবান একথা জানিয়েছেন। চীন এ ঘটনাকে ‘অবৈধ’ এবং ‘আঞ্চলিক শান্তির জন্য অনিষ্টকর’ আখ্যা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে নৌ-টহল অভিযানের স্বাধীনতা আছে বলে দাবি করেছে। বিতর্কিত ওই দ্বীপঅঞ্চলে চীনের পানিসীমা দাবির কোনও অধিকার আছে কিনা তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রায়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে সেখানে মার্কিন নৌটহলের এ ঘটনা ঘটল। এর আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের  তৈরি কৃত্রিম দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্য দিয়ে টহল দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি যুদ্ধজাহাজ। দক্ষিণ চীন সাগরের ওই এলাকাটি নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সেখানে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ টহলে তারা ক্ষুব্ধ এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কও করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, তাদের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনে যেকোনো সময় আকাশ ও নৌ টহল পরিচালনা অব্যাহত রাখবে। দক্ষিণ চীন সাগরও এর ব্যতিক্রম বলে বিবেচিত হবে না। ২০১৪ সালে দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্যার্টলি দ্বীপমালার সুবি ও মিসচিফ  শৈলশ্রেণী দুটিতে বালু ফেলে একটি দ্বীপ তৈরি করে চীন।  কৃত্রিম এ দ্বীপের চারদিকের ১২ নটিক্যাল মাইল এলাকাকে চীন তার পানিসীমা বলে দাবি করছে। দক্ষিণ চীন সাগরের এ এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত সমুদ্র-বাণিজ্যপথগুলোর অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকাটির ওপর চীনের একচ্ছত্র মালিকানার দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই যুক্তরাষ্ট্র সেখানে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ ফায়ারি ক্রস রিফের কাছাকাছি চলে যায় তাদের যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস উইলিয়াস পি. লরেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। একে তারা বেআইনি ও আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী বলে হুঁশিয়ার করেছে। বিবিসি, সিএনএন। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীনা দ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ