বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলা সদরের উপজেলার ধনিয়ায় নির্মানাধীন বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে গলায় ফাঁস পেঁচানো হাজেরা বেগম (৫৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ ও নিহতের বাড়িতে অচেতন অবস্থায় রাব্বি (১০) নামে নাতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় ধনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দরিরাম শঙ্কর গ্রামের মতিয়ার রহমার পণ্ডিত বাড়ি এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর স্বজনরা জানায়, নিহত হাজেরার স্বামী নুরুল ইসলাম মিন্টু পন্ডিত (৬৪) বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টার দিকে দোকান থেকে বাড়িতে আসে। এসময় সে তার স্ত্রী হাজেরাকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের ভিতরে ধান রাখার বাকসের নিচে ১০ বছরের নাতিকে অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি নির্মাণাধীন ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনায় এলাকায় রহস্যের ধূর্মজাল সৃষ্টি হয়েছে। হাজেরার বসতবাড়ি আর লাশ পড়ে থাকা স্থানের দূরত্বের কারণে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কীভাবে হাজেরা সেখানে গেল আবার নাতি রাব্বি কীভাবে ধানের বাকসের নিচে গেল। কী কারণে হাজেরাকে হত্যা করা হয়েছে সেই রহস্য উদঘটন করা না গেলেও হত্যার পর নিহত হাজেরার কানের দুল, গলার চেইনসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। স্বর্ণালঙ্কারের লোভ না পূর্ব শত্রুতার কারণে হাজেরাকে হত্যা করা হয়েছে সেই ব্যাপারে কোন ক্লু বের হয়নি।
এদিকে গুরুতর আহত হাজেরার নাতি রাব্বিকে ভোলা সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সে সুস্থ্য হলে হয়তো ঘটনা সম্পর্কে কিছু একটা জানা যাবে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। গতকাল শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত হাজেরা বেগমের লাশ আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।