মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সক্রিয় রাজনীতিতে এলেন। এটা ছিল বুধবার কংগ্রেসের প্রথম চমক। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই এল দ্বিতীয় চমক। কংগ্রেসের শীর্ষ দুই নেতা জোর গলায় দাবি করেছেন, এবার বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সে ব্যাপারে নাকি পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছে কংগ্রেস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই নেতার দাবি, উত্তরপ্রদেশে নানা কারণে এখন বিজেপি বিরোধী হাওয়া প্রবল। প্রিয়াঙ্কা যদি কোনওভাবে মোদিকে হারিয়ে দিতে পারেন তাহলে ইতিহাসের পাতায় জায়গা পাবেন ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসাবে। তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আর যদি স্বল্প বা বড় ব্যবধানেও হেরে যান তাহলেও কংগ্রেস বা গান্ধী পরিবারের হারানোর কিছু নেই। সবাই বলবেন ‘রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার’ কারণে লড়াই করে হেরে গিয়েছেন ‘হেভিওয়েট’ মোদির কাছে। এতে প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ সংসদীয় রাজনীতিতে হার-জিত আছেই। তাছাড়া প্রিয়াঙ্কার হারটাই হবে স্বাভাবিক ঘটনা। জিতলে হবে বিরাট অঘটন। তাই অঙ্ক কষেই জুয়া খেলতে চাইছে কংগ্রেস। এমনটাই দাবি ওই দুই কংগ্রেস নেতার। এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টি জানিয়েছে, তেমনটা হলে যাতে একের বিরুদ্ধে একের লড়াই হয় সেজন্য তারা বারাণসীতে কোনও প্রার্থী দেবে না। মোদির বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী ভোট যাতে ভাগাভাগি না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেবে দুই দল। তবে প্রিয়াঙ্কার ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে কংগ্রেস সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা দেয়নি। কিন্তু ঘরের মেয়ে প্রার্থী হচ্ছেন এটা ধরে নিয়েই প্রিয়াঙ্কার নামে জয়ধ্বনি শুরু হয়ে গিয়েছে রায়বরেলি ও আমেঠিতে। তবে বসপা এবং সপা নেতারা বলছেন, সোনিয়া গান্ধী মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন। এতদিন উত্তরপ্রদেশে ভোটযুদ্ধের ত্রিসীমানাতেই ছিল না কংগ্রেস। সাধারণ মানুষ চর্চা করছিলেন বিজেপিকে হারিয়ে কতগুলো আসন পাবে সপা-বসপা জোট? কিন্তু প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আসতেই হাওয়া পুরো ঘুরে গিয়েছে। এখন কংগ্রেস দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে। দিনভর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রিয়াঙ্কা-চর্চা এটাই প্রমাণ করছে, রাজীব তনয়া এবার উত্তরপ্রদেশে বহু আসনে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে চলেছেন। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।