Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ঝিনাইদহের তারককে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার অভিযোগ

৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর সবাই পলাতক

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:২০ পিএম

কাঞ্চি খাতুন নামে এক যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর সেলস এক্সিকিউটিভ মেহেদী হাসান তারেক (২২) কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তারেকের মৃতদেহ ময়না তদন্ত করার পর এই সন্দেহ আরো প্রবল হচ্ছে। এ ঘটনায় তারেকের মা শাহনাজ পারভিন বিনা সদর থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। নিহত তারেক ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মায়াধরপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। অভিযোগ উঠেছে তারেকের সাথে মায়াধরপুর গ্রামের আব্দুল গনি বিশ্বাসের নাতনি কাঞ্চি খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কাঞ্চি খাতুন ঝিনাইদহ সরকারী নুরুন্নাহার মহিলা কলেজে অনার্স পড়ে। তিনি মহেশপুর উপজেলার রাখালভোগ গ্রামের মিলনের মেয়ে। থাকেন নানা বাড়ি মায়াধরপুর গ্রামে। মামাতো ভাইয়ের সাথে “গভীর” সম্পর্কে জড়িয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে নানা বাড়িতে ওঠেন কাঞ্চি খাতুন। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারী কাঞ্চির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এমন মিথ্যা খবর দিয়ে তারেককে খুলনা থেকে ডেকে আনা হয়। এরপর পরভেজ ও জনি নামে কাঞ্চি খাতুনের দুই আত্মীয় তারেককে মটরসাইকেলে তুলে ঝিনাইদহ শহরে নিয়ে আসে। ঝিনাইদহ শহরে এনে তারেকের শরীরে জোর পুর্বক ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করা হয়। বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু যন্ত্রনা শুরু হলে তারেক মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদকে ফোন করেন। কিন্তু ব্যবস্ততার কারণে চেয়ারম্যান তারেকের ফোন ধরেন নি। বিষয়টি চেয়ারম্যান খুরশিদ নিজেই দুঃখ করে তার ফেসবুকে লেখেন। এরপর তারেক নিজেই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যান এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এদিকে তারেকের মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে কাঞ্চি খাতুনের নানা বাড়ির লোকজন বিষপানে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। ধীরে ধীরে আসল রহস্য ফাঁস হতে থাকে। তারেকের ভগ্নিপতি মোজাম্মেল হোসেনের আপত্তির কারণে তারেকের লাশের ময়না তদন্ত করে চিকিৎসকরা। ফাঁস হয়ে পড়ে তারেকের মৃত্যুর রহস্য। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, বিষপান করলে পাকস্থলীতে বিষ পাওয়া যেত। কিন্তু বিষ পাওয়া গেছে হার্টে। তারেকের ভগ্নিপতি মোজাম্মেল হোসেন জানান, ময়না তদন্তেই প্রমানিত হয় তারেককে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে তারেকের মা শাহনাজ পারভিন বিনা সদর থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর কাঞ্চি খাতুনসহ তার নানা, মামসা, মামাতো ও খালাতো ভাইয়েরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বাড়িটি এখন খা খা করছে। তারেকের মা শাহনাজ পারভিন বিনা ও বোন মেরি তারেক হত্যার বিচার ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবী করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বৃহস্পতিবার জানান, তারেকের মৃত্যু নিয়ে আমাদেরও সন্দেহ ছিল, যে করণে আমরা ময়না তদন্ত করেছি। তিনি বলেন ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তারেকের মায়ের অভিযোগটির বিষয়ে সিদ্ধন্ত নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, শুনেছি অভিযোগের তীর যাদের দিকে, তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যার অভিযোগ

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২২ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ