ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের এক মহিলার লাশ দাফনের ৮দিন পর দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার সংকরপুর কবর স্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে বলে মামলার আর্জি থেকে জানাগেছে। পাসন্ড স্বামী যৌতুকের কারনে স্ত্রী কে অন্তসত্তা অবস্থায় শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

ঘটনার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, পীরগঞ্জ উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের গরিব অসহায় শুকুদ্দীর কন্যা খাদিজার সঙ্গে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার সংকরপুর (পাটশালার) গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (২৮)'র আনুষ্ঠানিক ভাবে সরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বছর দুয়েক যেতে না যেতেই যৌতুকের কারনে পরিকল্পিত ভাবে ৬/৭ মাসের অন্তসত্তা অবস্থায় গত১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তার স্বামী সহ সহযোগিরা স্বাসরোধ করে খাদিজাকে প্রাণে মেরেফেলেছে। পরদিন সকাল ১১ টায় খাদিজার লোকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সংবাদ পায়। এখবর শুনে তার অভিভাবকরা আব্দুর রহিমের বাড়িতে যায়। আব্দুর রহিম তার স্ত্রীর লাশটি তাদের ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক তার এলাকায় সংকরপুর নামক
কবর স্থানে দাফন করে।
এব্যাপারে খাদিজার পিতা বাদী হয়ে নামিয় ৮জন সহ বেনামি ১০/১৫ জনকে আসামী করে ১৮ জানুয়ারি ইং তারিখে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ( সংশোধিত)/ ২০০৩ আইনের ১১(ক)/৩০ তৎসহ ২০১/৩৮৬/৩৪২ দ: বি: ধারা মতে বিরল থানায় মামলা রুজু করে। দাফনের ৮দিনপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত শুজয় কুমার রায়'র আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম রওশন কবির, এএসপি (সারর্কেল) শুসান্ত সরকার, ওসি এটিএম গোলাম রসুল, তদন্ত ওসি শুজয় কুমার রায়, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মুরাদ সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে খাদিজার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এপ্রসঙ্গে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, একটি হত্যা মামলা হয়েছে, কোটের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে, ময়না তদন্ত রিপোটের ভিত্তিত্বে মামলার অগ্রগতি হবে, তদন্ত চলছে এবং ইতো মধ্যে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।