বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাঁর স্বজনদের মানসিক অবস্থাকে মানবিকতার সাথে অনুভব করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবাকে অধিকতর রোগী বান্ধব হিসাবে গড়ে তুলতে চিকিৎসক, নার্স এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ইতিবাচক ও সেবামূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। দেশের গ্রামে গঞ্জে খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের অতি সাধারণ প্রত্যাশা, তারা যেন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের আন্তরিক ছোঁয়া পায়। তাদের আকাঙ্ক্ষা যেন চিকিৎসকদের সেবায় প্রতিফলিত হয় সেদিকে সচেতন থাকতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব কালে তিনি এ আহবান জানান।
সভার শুরুতে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে কার্যকরী কমিটির সহসভাপতি, বিভিন্ন সম্পাদকবৃন্দ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য গণসহ প্রায় ৫০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সভা শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে অভিনন্দন জানান।
সভায় অন্যান্য মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের আবাসন সংকটের উদ্যোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য দুইটি করে ডরমেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার ও কিডনী হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণাও এ সময় তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসক স্বল্পতা দূর করতে খুব শিগগিরই আরো ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন এই চিকিৎসকদেরকে গ্রামে পদায়ন করা হলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট অনেক কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জাহিদ মালেক বলেন, গত পাঁচ বছর চিকিৎসা শিক্ষার মান বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে দীর্ঘদিন পর নতুন ৭৫০টি আসন বাড়ানো হয়েছে। আগামীতে উচ্চতর শিক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও এখন থেকে নিয়মিত কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব কালে বলেন, হাসপাতালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে।
স্বাচিপ সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম এ আজিজের নেতৃত্বে কার্যকরী কমিটির ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।