মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসার পর ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় বইতে শুরু করেছে। একের পর এক অভিযোগে নাজেহাল ক্ষমতাসীন বিজেপি। ব্যালটে ভোট নিতে শোর তুলেছেন বিরোধীরা। ইভিএমের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার পরে গতকাল মঙ্গলবার একে একে সোচ্চার হয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, সপা নেতা অখিলেশ যাদব। সর্বশেষ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও টুইটে। ইভিএম কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর বিব্রত অবস্থায় পড়েছে বিজেপি সরকার। এর মধ্যে আঞ্চলিক দলগুলির সব নেতা-নেত্রী একসঙ্গে এ নিয়ে সোচ্চার হলে সরকার চাপের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
টুইটে তৃণমূল নেত্রী মমতা লিখেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করতেই হবে। আপনাদের প্রতিটি ভোট মূল্যবান। ইউনাইটেড ইন্ডিয়া নিয়ে ব্রিগেডের পর সকল বিরোধী দল ইভিএমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ১৯ জানুয়ারি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরব। হ্যাঁ, প্রতিটি ভোট মূল্যবান।’
কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আয়োজিত ব্রিগেড সমাবেশে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা ইভিএম নিয়ে প্রথমে সরব হয়েছিলে। তিনি সেই মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে বলেছিলেন ইভিএম চোর মেশিন। একাধিক ভোটে সেই কারচুপি করেছে বিজেপি। এরপরে সোমবার রাতে সাইবার বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুজার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ইভিএমে নয় ব্যালটেই করা হোক। তিনি আরও বলেছেন, ১৯৯০ সালে ইভিএম চালুর আগে তো ব্যালটেই ভোট হত। সেই ব্যালটই ফিরিয়ে আনা হোক। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বিএসপি শরিক সপা নেতা অখিলেশ যাদব এ বিষয়ে বলেছেন, যদি ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে এতোজন প্রশ্ন তুলে থাকেন তাহলে নিশ্চই কিছু গলদ রয়েছে। জাপানের মত উন্নত দেশেও ব্যালটে ভোট হয়। তাহলে ভারতে কেন হবে না বলে দাবি তুলেছেন অখিলেশ।
উল্লেখ্য, লন্ডনে সাংবাদিক সম্মেলন করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন মার্কিন সাইবার বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুজার। তার দাবি, ‘ইভিএম কারচুপির সাহায্যে ২০১৪ সালের ভোটের ফল বদলে ফেলা হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেতে বিজেপি। সেই কারচুপির গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাবে, সেই ভয়েই সরিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডেকে।’
তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। পাল্টা তারা কংগ্রেসকেই দায়ী করেছে। রবিশঙ্কর প্রসাদ থেকে অরুণ জেটলি কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। সূত্র: টিওআই, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।