মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এমন অঘোষিত ২০টি ঘাঁটির একটিকে উত্তর কোরিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্কটি এ দাবি করেছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। সিএসআইএসের ওই প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার অঘোষিত ২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালন কেন্দ্রের মধ্যে সিনো-রি ঘাঁটিকেই পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের সদরদপ্তর বানিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। “সিনো-রি ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা কেন্দ্র, সেখানে নোডং ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন রয়েছে। কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো পরমাণু কিংবা প্রচলিত উপায়ে প্রথম আঘাত হানার সক্ষমতা সম্পন্ন এ কেন্দ্রটি উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক সামরিক কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ,” বলেছেন সিএসআইএসের প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ভিক্টর ছা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে ফেব্রুয়ারির শেষে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আরেকটি শীর্ষ বৈঠকের পথে ‘অগ্রসর হওয়ার’ ঘোষণা দেওয়ার তিনদিন পর সিএসআইএসের এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল। এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে। গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথম ঐতিহাসিক বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। ওই বৈঠবে কিম পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে এ বিষয়ে অগ্রগতি যৎসামান্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিএসআইএস গত বছরের নভেম্বরে উত্তর কোরিয়ার ভেতরে ২০টি অঘোষিত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি আছে বলে দাবি করেছিল। থিঙ্কট্যাঙ্কটি বলছে, উত্তর কোরিয়া কখনোই সিনো-রি’কে ঘাঁটি হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনাতেও এই অঘোষিত ঘাঁটিটির প্রসঙ্গ আসেনি। পরমাণু নিয়ে যে কোনো চুক্তির আলোচনায় এ ধরনের অঘোষিত কেন্দ্রের স্বীকারোক্তি, সেখানকার নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া যাচাই ও কেন্দ্রগুলো ভেঙে ফেলার সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকা উচিত, মন্তব্য তাদের। “যা তারা প্রকাশ করতে চায় না, তা নিয়ে মধ্যস্থতা করবে না উত্তর কোরিয়া। মনে হচ্ছে, তারা যেন খেলছে। তারা যদি তাদের ঘোষিত কেন্দ্রগুলো ধ্বংসও করে দেয়, তারপরও সব ধরনের কাজ চালানোর সক্ষমতা থাকবে তাদের,” বলেন সামরিক বিশ্লেষক ছা। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।