Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়িতে বসে বেতন নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

বেতাগীর ফুলতলা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়

বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বরগুনার বেতাগী উপজেলার ফুলতলা নুরুন্নেচ্ছা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান স্কুল না যেয়েও সরকারি বেতন ভাতাদি ভোগ করছেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির যোগসাজসে তিনি বহার তবিয়তে আছেন। চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে মুখ খুলছেন না তার সহকারি শিক্ষকরা।

সরেজমিনে জানা যায়, গত বছর ৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান সর্বশেষ স্কুলে যান। এরপর থেকে তিনি আর স্কুলে যায়নি। স্কুলে না গিয়েও তার ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সোহরাব হোসেন ও আব্দুল খালেকের মাধ্যমে শিক্ষক হাজিরা খাতা বাড়িতে নিয়ে স্বাক্ষর করছেন। এ কাজে সহায়তা করছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসুদ। একইভাবে মাসিক বেতন ভাতাদিতে সরকারি অংশে বাড়িতে বসে স্বাক্ষর করছেন এবং যথারীতি টাকা উত্তোলন করছেন।

প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানের জাতীয় বেতন কোড-৮ স্কেল ২৩ হাজার টাকা। সেই হিসেবে স্কুলে না যেয়েও গত ৯ মাসে সরকারি ২ লাখ ৭ হাজার টাকা উত্তোলন করছেন। পত্রিকায় নাম না ছাপানোর শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক ৯ মাস ধরে স্কুলে আসছে না অথচ বেতন নিচ্ছেন। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় ৫ জন শিক্ষক ও ২ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী চাকরি করছেন। সহকারি শিক্ষক ও কর্মচারিরা চাকরির ভয়ে মুখ খুলছেন না। তাদের কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, সহকারি শিক্ষক ও কর্মচারিদেরকেও প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের সভাপতি নানা ধরণের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান এ বিষয় বলেন, ‘স্কুলের অফিস সহকারি নিয়োগ নিয়ে দ্ব›দ্ব চলে, তাই আমার বিপক্ষে যারা আছেন, তারা এটা বানিয়ে বলছেন। আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

প্রধান শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিতের কথা স্বীকার করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসুদ বলেন,‘ প্রধান শিক্ষক কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলেন, তবে এখন আর অনুপস্থিত নেই। তাঁর বিপক্ষের লোকজন এগুলো বানিয়ে বলছেন।’
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত আলী মোল্লা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে কিছু অভিযোগ শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।’

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান বলেন, ‘অভিযোগ শুনেছি, এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধান শিক্ষক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ