Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বহিরাগতের ছুরিকাঘাতে আহত ছাত্রলীগ নেতা

রাবি ভিসির আদেশকে অমান্য ছাত্রলীগের

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:০০ এএম | আপডেট : ১১:০৭ এএম, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯

বহিরাগতের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় বিশ‌ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ছুরিকাঘাতের সাথে জড়িত একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে বেধরক পিটুনী দিয়ে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে আটককৃত রোমেলকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
তবে বহিরাগত রোমেলকে ঘিরে একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি এম আব্দুস সোবহান। এরপর ভিসি আটক রোমেলকে কোন ধরনের মারধরের জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারীসহ নেতাকর্মীদের বাধা করলেও তার আদেশকে অমান্য করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি এম আব্দুস সোবহানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে অতিথি রুম থেকে বের করা হয়। তবুও রোমেলকে গাড়িতে তোলার সময় তার ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় রোমেলকে টানাহেছড়ার সময় ডিসি, এডিসি, ওসিও লাঞ্ছিত হন বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট এলাকায় মটর সাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েক যুবকের সাথে বাকবিত-ায় জড়ায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় স্থানীয় বাধন নামের এক যুবকের মাথা ফেটে যায়। পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুই পক্ষ। পরবর্তীতে ৫ টি মটরসাইকেলে চড়ে ক্যাম্পাসে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে স্থানীয় ওই যুবকেরা। বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের পাশে মাসুমের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইমতিয়াজের গলায় ছুড়ি মেরে মটর সাইকেলে পালিয়ে গেলেও ইশতিয়াক আহমেদ রোমেল নামে ঐ বহিরাগতকে আটক করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সে নিজেকে বিশ^বিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সান্ধ্যমাস্টার্সের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদককে ছুরিকাঘাত করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভেবে দেখব। তবে কাজলার ঘটনা আর এই ঘটনা এক কি না সেটা আমরা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আর এই ছেলে সেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না সেটাও দেখা হবে।
সহকারী প্রক্টর শিবলী ইসলাম বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করবে এটা তো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খুব বেশি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই আমরা বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
মতিহার থানার এক উদ্ধতন কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পরে আটক রোমেনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ লাঞ্ছিতের বিষয়ে অন্য এক কর্মকতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাগের সঞ্চার হওয়াটা স্বাভাবিক। রোমেনকে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষ থেকে বের করার সময় টানাহেঁচড়ার মধ্যে পড়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি সাজিদ হোসেন জানান, বড় ধরণের অপৃতিকর ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সাংবাদিকসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ নেতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ