বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হল থেকে অস্ত্রসহ এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে হল প্রশাসন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার জানান তার নিকট পাওয়া পিস্তলটি একটি খেলনা পিস্তল। আটককৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম আল আমিঢ়ন ওরফে রিজন। থাকতেন সূর্যসেন হলের ১০২ নং কক্ষে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলের ১০২নং কক্ষ থেকে রিজনকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ওই রুমে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, হকিস্টিক ও রডসহ তাকে আটক করি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে সোপর্দ করেন হল প্রশাসন। প্রক্টরিয়াল টিম তাকে থানায় হস্তান্তর করে। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। হল প্রশাসনের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আল আমিন খান ২০১৪-১৫ সেশনে ফিন্যান্স বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। ২০১৫-১৬ সেশনে প্রথম বর্ষে পুনঃভর্তি হয়। পরবর্তীতে ২০১৬-১৭ সেশনে পুনঃভর্তির আবেদন করলেও ভর্তি হয়নি। বর্তমানে তার ছাত্রত্ব নেই এবং অবৈভাবে সূর্যসেন হলের ১০২নং কক্ষে বসবাস করতেন। বিভিন্ন সময়ে হলের দোকানদারদের পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অস্ত্রসহ জব্দ করা হয়।
হল সূত্রে জানা যায় , আল আমিন হলে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মাদকাসক্ত হয়ে গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতেন। তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের রাজনীতি করেন এবং নিজেকে হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী দাবি করতেন।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার ইনকিলাবকে বলেন, তার কাছে যে পিস্তলটা পাওয়া গেছে তা আসলে একটি খেলনা পিস্তল। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি, আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বর্তমানে তিনি আদালতে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।