নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দশ দিন আগে গ্যাঁগোর কাছে হেরে ফরাসি লিগ কাপের শেষ আট থেকে বিদায় নেয় প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পরশু রাতে সেই হারের কি নির্মম প্রতিশোধটাই না নিলেন নেইমার-এমবাপে-কাভানিরা। একটি দুটি নয়, গুনে গুনে দিলেন নয় গোল! খেতে হয়নি একটিও। হ্যাটট্রিক করেছেন কিলিয়ান এমবাপে ও এডিনসন কাভানি, নেইমার করেছেন জোড়া গোল।
তার মানে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচটি পিএসজি জিতেছে ৯-০ ব্যবধানে! ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে যা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ৮-০ গোলের, ডিয়নের বিপক্ষে। গত বছরের রেকর্ডটা এবার হালনাগাদ করলেন নেইমাররা। তবে সব প্রতিযোগিতা মিলে পিএসজির সবচেয়ে বড় জয় ১০-০ ব্যবধানের, ১৯৯৪ সালে ফ্রেঞ্চ কাপে কোত সুদের বিপক্ষে।
গ্যাঁগোর সঙ্গে পিএসজির তুলনা হওয়ার কথাও না। লিগ মৌসুমে পিএসজি যেখানে এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচে অপরাজিত, সেখানে ২১ ম্যাচে মাত্র তিনটি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার একেবারেই তলানিতে গ্যাঁগো। দুই ম্যাচ কম খেলেও দুইয়ে থাকা লিলির চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে পিএসজি। দেখে মনে হতেই পারে অন্য দলগুলোর লড়াই শিরোপার জন্য নয়, শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সুযোগ পাওয়ার। লিগ কাপের সেই ম্যাচে কোচ টমাস টুখেল ২-১ গোলে ধরা খেয়েছিলেন অচেনা একাদশ নামিয়ে।
এদিন আর সেই পথে হাটেননি টুখেল। পুরো শক্তি নিয়ে গ্যাঁগোর সামনে হাজির হন পিএসজি কোচ। গোল উৎসবের শুরুটা করেছিলেন নেইমার, ১১তম মিনিটে। প্রথমার্ধে আরো দুই গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করে রাখেন এমবাপে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ থেকে ৭৫ এই ১৬ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার কাভানি। এর মাঝে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বিশ্রাম কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা নেইমার। ৮০ মিনিটে চলতি মৌসুমে লিগের ১৭তম গোল দিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফরাসি তারকা এমবাপে। ৮৩ মিনিটে বেলজিয়ান ডিফেন্ডার টমাস মুনিয়ের স্কোর বোর্ডে নাম লিখিয়ে ব্যবধান ৯-০ করেন দেন। ম্যাচ শেষে প্রতিশোধের বিষয়টা আনলেন কাভানি, ‘ফরাসি লিগ কাপ থেকে গ্যাঁগো আমাদেরকে ছিটকে দেওয়ার পর আসল লক্ষ্য ছিল আজ রাতে তাদেরকে হারানো।’ ঘরের মাঠে মাইলফলক পেরুতে পেরে গর্বিত কাভানি বলেন, ‘এই মাঠে ১০০ ও ১০১তম গোল করতে পেরে আমি খুব খুশি। আমি ক্লাবের ইতিহাসে নাম লিখিয়েছি এবং দলকে সাহায্য করতে আমি এভাবে গোল করে যেতে চাই।’
এমন রেকর্ড গড়া ম্যাচের পরও একটা আক্ষেপ হয়ত রয়েই গেছে পিএসজি সমর্থকদের- নেইমারের হ্যাটট্রিক না পাওয়া। সেক্ষেত্রে দলের তিন ফরোয়ার্ডের পাশেই লেখা হতো অনন্য এক কীর্তি। ম্যাচ শেষে এটা যদি হয় আক্ষেপ তাহলে টুখেলের দুশ্চিন্তার ব্যাপারটাও জেনে নিন। ম্যাচের ১৯ মিনিটে চোট নিয়ে মেডিকেল স্টাফদের সহায়তা নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলের ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি। ম্যাচ শেষে টুখেল নিশ্চিত করেছেন, ভেরাত্তির গোড়ালির ইনজুরিটা ‘গুরুতর’। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ম্যাচকে সামনে রেখে এমন ধাক্কা খাওয়াটা নিশ্চয় কাম্য ছিল না টুখেলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।