Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরাকান আর্মির ঘাঁটি বেদখল

হামলায় ৬ বিজিপি সদস্য আহত : মিয়ানমার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির একটি অস্থায়ী ঘাঁটির দখল নিয়েছেন দেশটির সরকারি বাহিনী। বুধবার সেনাবাহিনী ওই ঘাঁটির পাঁচ সদস্যকে হত্যা করে এর দখল নেয়। এই ঘাঁটির অবস্থান রাখাইনের বুথিডং এলাকায়। মিয়ানমার টাইসের খবরে বলা হয়, সনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা আরাকান আর্মির একটি সাময়িক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ৫০ সদস্যের ওই ঘাঁটি থেকে ৩০টির বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়নি। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর ওই অভিযানের সময় তারা সেখানে গুলিবর্ষণ ও বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। ইই থান শোয়ে নামের এক ব্যক্তি জানান, অনেকে শহরে পালিয়ে গেছে। কিন্তু কিছু লোকজন সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যকার সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা প্রায় প্রতিদিনই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, রাখাইনের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ছয় সদস্য আহত হয়েছে। শনিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই আরসা হামলা চালিয়ে বলে দাবি করলো মিয়ানমার। ২০১৬ সালে সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। আরসা রাজ্যটির নাগরিকত্বহীন রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে লড়াই করছে। ২০১৭ সালের আগস্টে বিজিপি’র ফাঁড়িতে আরসা’র হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। এমন বাস্তবতায় জাতিগত নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা। সরকার নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে দাবি করা হয়েছে, আরসা’র অন্তত দশজন সশস্ত্র হামলাকারী মংডুর ওয়েট কিয়েইন গ্রামে বিজিপি’র একটি ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এর আগে বুধবার এই এলাকায় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সংবাদ মাধ্যম। মিয়ানমার টাইমস, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আরাকান আর্মির ঘাঁটি

২১ জানুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ