মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে দেশটির সরকারের আংশিক শাটডাউন ও সীমান্তের দেয়াল নিয়ে বড় ধরনের ঘোষণা দেবেন। দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় মার্কিন সরকারের চলমান আংশিক শাটডাউন পঞ্চম সপ্তাহে গড়ানোর পর এই পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এখবর জানিয়েছে।
২২ ডিসেম্বর থেকে শাট ডাউন বা সরকারের অচলাবস্থার পড়েছে মার্কিন প্রশাসনের একাংশ। অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত না হওয়ায় বাধ্যতামূলক ছুটি বা বেতন ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ সরকারি কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থ বরাদ্দের কোনও প্রস্তাব কার্যকর করাতে সংশ্লিষ্ট বিলকে দুই কক্ষের অনুমোদন ছাড়াও পেতে হয় প্রেসিডেন্টের সম্মতি। সর্বশেষ অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবে দেয়াল নির্মাণে ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা একমত না হওয়ায় তাতে সম্মতি দিতে অস্বীকার করেন ট্রাম্প। হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিল পাস করাতে ডেমোক্র্যাটদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। তবে দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দের প্রশ্নে অনড় অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প কী ঘোষণা দিতে পারেন- এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, হুমকি দিয়ে আসলে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশে স্বাক্ষর করবেন না তিনি। ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে এপি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার না থাকায় তারা নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ওই দুই ব্যক্তির একজনের মতে, ট্রাম্প একটি নতুন সমঝোতার প্রস্তাব করতে পারেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশা করছেন এতে করে শাটডাউন অবসানের উপায় তৈরি হবে।
হোয়াইট হাউসের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটরা নতুন অভিবাসন বিচারক ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বন্দরের উন্নতির জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বরাদ্দ দিলেও তারা দেয়ালের কোনও তহবিল ছাড় দিচ্ছে না।
চলমান শাটডাউনের কারণে নতুন বছরে বেতন পাননি যুক্তরাষ্ট্রের ৮ লাখ সরকারি কর্মী। মোট সরকারি কর্মীর মধ্যে বেতন না পাওয়াদের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ। এদের মধ্যে সাড়ে তিন রাখ কর্মী সাময়িক ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়েছেন। বাকিরা নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েক লাখ মানুষ আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে বেকারত্ব সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।