পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বড় বড় স্টলের সামনে চলছে ছোটখাটো ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা (হকার)। আইসক্রিম, ঝালমুড়ি, চানাচুরসহ হরেক রকম খাবার বিক্রেতায় ভরে গেছে মেলার মাঠ। গতকাল শনিবার ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়ে এসব ছোটখাটো ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ¯্রােতে মেলায় তিল ধারণের যখন ঠাঁই ছিল না তখন এসব দোকানির কারণে ক্রেতা-দর্শনার্থীর হাঁটতে চলতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়। একই সঙ্গে মেলায় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনায় ভরে গেছে। মেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গতকাল অভিযান চালায় মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। মেলার এগারতম দিনে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপ-পরিচালক আবু মোখলেছ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অবৈধভাবে স্থাপন করা বেশ কয়েকটি স্টল ভেঙে দেওয়াসহ স্টলে থাকা পণ্য জব্দ করা হয়। অভিযানের বিষয়ে আবু মোখলেছ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) এ অভিযান পরিচালনা করছি। অবৈধভাবে যারা মেলায় স্টল দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান।
তিনি বলেন, মেলার ভেতরে অনেক স্টল আছে যেগুলো অবৈধ। ইপিবি থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তারপরও অবৈধভাবে তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। যাদের কাছে ইপিবির অনুমোদনপত্র আছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
মেলার পরিবেশ সুন্দর রাখতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলায় প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আমাদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা আছেন। মেলার পরিবেশ যাতে সুন্দর থাকে সে জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
উচ্ছেদের শিকার মো. সাইফুল নামের একজন বলেন, আমরা কোমল পানি বিক্রি করছিলাম। এখানে ফ্রিজ রেখে বিক্রি কার্যক্রম চালাতে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। তারপরও উচ্ছেদের শিকার হলাম। এখন যাদের টাকা দিয়ে স্টল নিয়েছিলাম তারা কী পদক্ষেপ নেয়, দেখি। ইপিবি থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে মুকুল ভাই। মুকুল ভাইরাই মেলা মাঠের ইজারা নিয়েছেন। ইপিবি থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ তারাই করবেন। আমরা ইপিবি থেকে কোনো অনুমোদন নেইনি। তবে মুকুল নামে কাউকে চিনেন না বলে জানিয়েছে ইপিবি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, গত শুক্রবারের মতো গতকাল শনিবারও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে বাণিজ্য মেলার মূল ফটকের সামনেসহ সর্বত্র ছিল ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। মেলায় আগত দর্শনার্থী মোহাম্মদ হাদী। এসেছেন উত্তরার আশকোনা থেকে। ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে হাদী জানান, একজন হকারই তাকে অন্তত ২০ বার বলেছেন, ‘স্যার বেলুন লাগবে? মোহাম্মদ হাদীর মতে অন্তত ছুটির দিনের ভিড়ে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী বা হকারদের প্রবেশ বন্ধ রাখা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।