পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজ দেশ সউদী আরব থেকে পালিয়ে এসে গত সপ্তাহে কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন আলোচিত কিশোরী রাহাফ মোহাম্মেদ (১৮)। সেখানে তিনি তার স্বাধীন জীবন উদযাপন করছেন, যে স্বাধীনতার আশায় দেশ ছেড়েছেন। কানাডায় সেই জীবন আমোদেই কাটছে তার। সেখানে শূকরের মাংস, ওয়াইন ও গাঁজা ভরা সিগারেট খাচ্ছেন দেদারছে। এসব ছবি ব্যক্তিগত টুইটারে পোস্টও করেছেন। ছবিগুলো দেখে মনে হয়নি যে, তিনি এগুলোতে অনভ্যস্ত। তারই চিত্র তুলে ধরেছে ডেইলি মেইল।
কানাডায় রাহাফ নতুন বাড়িতে এক সপ্তাহ বসবাসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এতে মদ (রেড ওয়াইন) ও গাঁজা ভরা জ্বলন্ত সিগারেট রয়েছে। রাহাফ তার নাস্তার ছবিও শেয়ার করেন। এতে তিনি জীবনে প্রথম কানাডিয়ান স্টাইলে বেকন (শূকরের হিমায়িত মাংস) চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন। মুসলমানদের শরিয়তে শূকরের মাংস ও মদ খাওয়া নিষিদ্ধ হলেও পোস্ট করা নাস্তার ছবিতে তিনি ক্যাপশন লিখেন- ‘ওএমজি বেকন’ ও মাই গড বেকন (শূকরের মাংস)। এই ক্যাপশনের সঙ্গে তিনি কানাডার পতাকার সঙ্গে হৃদয় ইমোজি দিয়েছেন। সঙ্গে মদ এবং সিগারেটের টুকরার ছবি দিয়ে তিনি সেগুলো দারুণ উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন। সিগারেট খাওয়ার ছবিতে রাহাফ আরবিতে ক্যাপশন দিয়েছেন, যার বাংলা অর্থ, মাইনাস ৮ ডিগ্রিতে বসে ‘বাষ্প’ উড়াচ্ছি।
কানাডায় সাধারণ এভাবে গাঁজা ভরে সিগারেট খাওয়া হয়। সম্প্রতি দেশটি গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশের নিজস্ব রীতি মেনে ১৮/১৯ বছর বয়সী থেকে সবাই গাঁজা সেবন করতে পারেন।
মদ পানের ছবিটি টরেন্টোগামী বিমানে বসে। এর আগে রাহাফ কুকুর নিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর ছবি দিয়ে তাতে ক্যাপশন দেন, স্বাধীনতা অনুভব করছি। এছাড়া রাহাফ ভোরে স্টারবাকস কফি খাওয়ার ছবিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তাকে হাঁটু পর্যন্ত ধূসর উলের পোশাকে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি পরিবারে সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে আসেন সউদী তরুণী রাহাফ। যেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। পরে নিজেকে থাই বিমানবন্দরের একটি হোটেলে আটকে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেন, দেশে ফিরলে তাকে তার পরিবার হত্যা করতে পারে। যদিও তার পরিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে মানবাধিকার সংস্থার সাহায্যে তিনি শরণার্থীর মর্যাদায় কানাডাতে আশ্রয় পান। তিনি গত রোববার কানাডায় পৌঁছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত টুইট অ্যাকাউন্টে গত শনিবার লেখেন- সউদী আরব থেকে যারা বের হতে সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ। তিনি লেখেন, যারা আমাকে নতুন জীবন দিতে সহযোগিতা করছেন তাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে আমি কখনও স্বপ্নে ভাবিনি আমি ভালোবাসা ও সহযোগিতা পাব। তিনি কানাডার গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, কানাডায় পৌঁছানোর সহযোগিতা নারীদের স্বাধীন করল। আমাকে দেখে আরও নারীরা অনুপ্রাণিত হবেন। আমি নারীদের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করব। রাহাফ বলেন, আজ ও আগামী দিনগুলোতে আমি বিশ্বজুড়ে নারীদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। কানাডায় আসার পর প্রথম দিন আমি যে অভিজ্ঞতা পেয়েছি, ঠিক সেভাবেই নারীদের হয়ে লড়াই করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।