নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশ মহিলা হ্যান্ডবল দলের অংশগ্রহণ হাতে গোনা হলেও সাফল্য একেবারেই কম নয়। লাল-সবুজের বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলের মেয়েরা ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে বেশ কিছু সাফল্য তুলে এনেছে যা দেশের নারী হ্যান্ডবলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তাদের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে বর্তমানে নতুন প্রজন্মের অনেক মেয়েই হ্যান্ডবলকে নিজেদের পছন্দের খেলা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর এতে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন পাচ্ছে জাতীয় দলের ভবিষ্যত তারকা।
আজ থেকে ১৯ বছর আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশিয়ান মহিলা হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত ওই টুর্নামেন্টে ৯টি দেশ অংশ নিয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশ পেয়েছিল পঞ্চমস্থান। এরপর ধারাবাহিক সাফল্যের মধ্যে থেকেছে লাল-সবুজের মহিলা হ্যান্ডবল দল। ২০১৪ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত আইএইচএফ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। পরের বছর সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টেও অংশ নেয় তারা। ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইএইচএফ ট্রফিতে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ মহিলা হ্যান্ডবল দল। একই বছর গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে রৌপ্যপদক জিতে দেশের মান বাড়ান ডালিয়া, শিলারা। আর গেল বছর মার্চে ভারতের লক্ষেèৗতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান হ্যান্ডবলেও তৃতীয়স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মেয়েরা। এবার তাদের চোখ জয়পুরের এশিয়ান কাপে।
ইতোমধ্যে যুব মহিলা হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট থেকে বেশ ক’জন খেলোয়াড়কে বাছাই করেছে ফেডারেশন। চলমান এক্সিম ব্যাংক জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে আরো কিছু খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। যাদের নিয়ে গঠন করা হবে শক্তিশালী জাতীয় দল। তাদের নিয়েই হবে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন ক্যাম্প। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর এশিয়া কাপ নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘জয়পুরে আমাদের লক্ষ্য থাকবে তিনের মধ্যে থাকা। তাই সেভাবেই আমরা দল গঠন করে অনুশীলন শুরু করবো। আমার ধারণা আমাদের মেয়েরা ভালো কিছু করে দেখাবে এশিয়ান কাপে।’
এদিকে দেশে আরো একটি আইএইচএফ ট্রফি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন। আগামী মার্চে নেপালে টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তারা এই মুহুর্তে টুর্নামেন্টটি করতে চাচ্ছে না। তাই আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশন যদি রাজি থাকে তাহলে ঢাকায় হতে পারে এ টুর্নামেন্ট। তেমনই আভাস দিলেন কোহিনুর। তার কথা, ‘এটা অনেক বড় একটি টুর্নামেন্ট। দু’বছর আগেও আমরা আয়োজন করেছি। তবে আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশন বললে আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি। কারণ এখানে বড় পৃষ্ঠপোষক লাগবে। যা খুঁজে পাওয়া সময়ের ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।