মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আয়োজিত আস্থা ভোটে মাত্র ১৯ ভোটের ব্যবধানে নির্ধারিত হয়েছে ফলাফল। এর মাধ্যমে টিকে গেল থেরেসা মের সরকার। বুধবার ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত এই আস্থা ভোটে পরাজয় হলে দিতে হতো নতুন নির্বাচন। ব্রিটিশ লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিনই মের সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিলেন। আস্থা ভোটে মের সরকার জিতলেও লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন মন্তব্য করেছেন, মের ‘জোম্বি’ সরকার, কার্যত দেশ চালানোর অধিকার হারিয়েছে। তিনি এখন মনে করেন, মের উচিত পদত্যাগ করা। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্য করা যেতে পারে ভোটের ব্যবধানের দিকে। যে ১৯ ভোটের ব্যবধানে মের সরকার টিকে গেল, তার ভেতর রয়েছে ‘ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির’ (ডিইউপির) ১০ সংসদ সদস্যের ভোট। তারা যদি বিরুদ্ধে ভোট দিতেন, তাহলে পতন হতো মের সরকারের। সেক্ষেত্রে মের সরকারকে বিদায় নিতে হতো এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চুক্তি ২৩০ ভোটের ব্যবধানে হাউস অব কমন্সে হেরে যায়। তারপর সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর কথা বলেছিলেন মে। মাত্র ১৯ ভোটে জিতে আবারও তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করতে এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে বিরোধী লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মের সরকার শাসন করার ‘বৈধতা’ হারিয়েছে। গত বুধবার ব্রিটিশ সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সরকারের পক্ষে আস্থা জানান ৩২৫ এমপি। আর বিরুদ্ধে ভোট দেন ৩০৬ জন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, খোদ কনজারভেটিভ পার্টির যেসব সদস্য মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেও মের ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন তারা এবার সরকার টেকাবার জন্য মের নেতৃত্বাধীন সরকারের রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এদিকে আস্থা ভোটের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে মন্তব্য করেছেন, ‘এমপিদের উচিত গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যে রায় দিয়েছিল সেই রায় অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়টি বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়া। আমাদের এমন কোনও একটি সমাধান বের করতে হবে যা এই হাউসের সমর্থন পাবে।’ এ লক্ষ্যে তিনি কিছু ছোট ছোট দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে আসতে। কনজারভেটিভ পার্টির যে সদস্যরা তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন তারা কেন সরকারের প্রতি অনাস্থার প্রশ্নে উল্টো দিকে ঘুরে গেলেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস লিখেছে, মের সরকার আস্থা ভোটে হেরে গেলে নতুন নির্বাচন দিতে হতো। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।