মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভাল না লাগলে বিজেপি ছেড়ে দিন। জনপ্রিয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। মঙ্গলবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সুশীল বলেন, ‘শত্রুঘ্ন সিনহা আমারও আইকন। কিন্তু যে ভাবে উনি বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, দলটাকে ওর ভাল লাগছে না। তা হলে দলটা উনি ছেড়ে দিন। যে দল ওকে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেছিল, দু’বার পাঠিয়েছিল লোকসভায়, দু’বার রাজ্যসভারও সদস্য করেছিল, উনি সেই দলের বিরুদ্ধেই যা মনে আসছে, তাই বলে যাচ্ছেন। উনি আসলে যশবন্ত সিনহার পাল্লায় পড়েছেন।’
বিজেপি সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে শত্রুঘ্নর পটনা সাহিব আসন থেকে লড়তে চাইছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। শত্রুঘ্নও পটনা সাহিবের মতো নিরাপদ আসন ছাড়তে চাইছেন না। তার জন্য তিনি ‘পদ্ম’ ছেড়ে ‘লন্ঠন’ (রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রতীক) ধরতেও রাজি।
গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন শত্রুঘ্ন। বিহারের ক্ষেত্রে, জাতীয় ইস্যুতেও। আর অনেক সময়েই সেই সমালোচনা করেছেন প্রকাশ্যে, সভা-সমাবেশে। খোলাখুলি সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে। নোটবন্দি, জিএসটি ইস্যুতে। সম্প্রতি রাফাল চুক্তি ও বিজয় মাল্য ইস্যুতেও।
কিন্তু সে সবের চেয়েও যেটা বিজেপির পক্ষে বেশি অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে, তা হল শত্রুঘ্ন এখন ঘন ঘন বিজেপি-বিরোধী নেতাদের বাড়িতে-বাড়িতে যেতে শুরু করেছেন। বিহারে বিজেপির ঘোর শত্রু রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে কথা বলতে দিনকয়েক আগে পটনায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তার আগে ডিসেম্বরে রাঁচীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (আরআইআইএমএস) থাকা অসুস্থ লালুপ্রসাদকে দেখতে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। লালুর ছেলে তেজস্বী গত বছর প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘চাচা (শত্রুঘ্ন) আমাদের সঙ্গে আছেন।’
পটনার রাজনৈতিক মহলের খবর, শত্রুঘ্ন চাইছেন দল (বিজেপি) যদি তাকে ছাড়তেই হয়, তা হলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি আরজেডির টিকিটে লড়বেন পটনা সাহিবে। বিজেপি ছেড়ে পটনা সাহিবে ভোটে লড়লে যাতে কংগ্রেসেরও সমর্থন পান, সেই চেষ্টাতেও খামতি নেই শত্রুঘ্নর। তাই তাকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগসাজশ রাখতে দেখা যাচ্ছে। সুশীল বলেছেন, ‘উনি লালুজির সঙ্গে দেখা করেছেন। ওর ছেলে তেজস্বীকে তো উনি মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চাইছেন।’
শত্রুঘ্ন বিজেপি ছাড়লে সুশীল মোদীর অনেক সুবিধা। পটনা সাহিবে বিজেপির টিকিট পেতে তার বিশেষ অসুবিধা হবে না বলে দল সূত্রের খবর। তাই সুশীল বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, অভিনেতা শত্রুঘ্নর ‘ক্যারিশমা’ ফ্যাক্টর হয়নি, পটনা সাহিব আদতে বিজেপিরই আসন। সুশীল বলেছেন, ‘গত লোকসভা ভোটে শত্রুঘ্ন জিততে পেরেছিলেন নন্দ কিশোর যাদব, সঞ্জীব চৌরাসিয়া, অরুণ কুমার সিনহা ও নিতিন নবীনের মতো বিজেপি নেতাদের যৌথ প্রচেষ্টায়।’
তিনি যে পটনা সাহিব আসনে এ বার দাঁড়াতে চাইছেন, সেই রটনা কিন্তু পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি সুশীল। বলেছেন, ‘দল চাইলে, দাঁড়াব। না চাইলে, দাঁড়াব না। আমি বিজেপিতেই জন্মেছি, বিজেপিতে থেকেই মরব।’ ২০০৪-এ ভাগলপুর আসন থেকে লোকসভায় গিয়েছিলেন সুশীল। তার পরের বছর তাকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসা হয় বিহারের রাজনীতিতে। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।