রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ‘বিজয় উৎসব’ করবে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সমাবেশে রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর রোড হয়ে আসা নেতাকর্মীরা সাইন্সল্যাব-নিউমার্কেট হয়ে নীলক্ষেতে নেমে পায়ে হেঁটে টিএসসি হয়ে বিভিন্ন গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করবেন। আগতদের বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর এবং নীলক্ষেত থেকে পলাশী পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে এক লাইনে পার্কিং করা যাবে।
উত্তরা থেকে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে মহাখালী-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-রাজমনি ক্রসিং-নাইটেংগেল-পল্টন মোড়-জিরো পয়েন্ট অথবা খিলক্ষেত ফ্লাইওভার-বাড্ডা-গুলশান-রামপুরা রোড-মৌচাক ফ্লাইওভার-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজমনি ক্রসিং-নাইটেংগেল হয়ে পল্টনমোড়/জিরোপয়েন্ট হয়ে আগত ব্যক্তিরা পল্টন মোড় নেমে পায়ে হেঁটে দোয়েল চত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস মতিঝিল এলাকায় পার্কিং করবে।
উত্তরা হতে আগত গাড়ি সমূহের পার্কিং স্থান মতিঝিল, গুলিস্থানে সংকুলান না হলে প্রয়োজনে হাতিরঝিল এলাকায় পার্কিং করা যাবে।
পূর্বাঞ্চল থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে পোস্তগোলা হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নীচ দিয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ গুলিস্থানে নেমে পায়ে হেঁটে জিরো পয়েন্ট-দোয়েল চত্বর হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গমন করতে বলা হয়েছে এবং তাদের বাস মতিঝিল/গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করা যাবে।
এছাড়া যারা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে গমন করবেন তারা চাঁনখারপুল নেমে পায়ে হেঁটে দোয়েল চত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস সমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে পার্কিং করা যাবে।
বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে আগত ব্যক্তিরা গোলাপশাহ মাজারে নেমে পায়ে হেঁটে হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস সমূহ গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করবেন।
শাহবাগ থেকে মৎসভবন পর্যন্ত সড়ক সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির যাতায়াত উপলক্ষে ওইদিন ভোর হতে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থলের চারপাশের বিভিন্ন ইন্টারসেকশন যেমন- বাংলামটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শাহাবাগ, কাটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বকশীবাজার, চাঁনখারপুল, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্টু রোড ক্রসিংগুলো থেকে গাড়ি ডাইভারশন দেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
অনুষ্ঠানস্থলে আগত ব্যক্তিদের কোনো প্রকার হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বা ধারালো কোনো বস্তু বহন না করাসহ কর্তব্যরত আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া সর্বসাধারণকে অনুষ্ঠানস্থল এবং এর আশেপাশের এলাকা দিয়ে ভারি/হালকা যানবাহনসহ গমনাগমন পরিহার করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।