মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে গেলে (ব্রিক্সিট) আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাজ্য যদি ইইউ ত্যাগ করে তাহলে সমগ্র ইউরোপ একটি শান্তিঝুঁকির মধ্যে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ, বিশ্ব আরেকটি যুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে। ক্যামেরন গত সোমবার আরো বলেন, এর আগেও যুক্তরাজ্যকে ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অনুশোচনা করতে হয়েছিল। এ বিষয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ইউরোপ ছাড়ার ঝুঁকি ব্রিটেনের নেয়া উচিত হবে কিনা? তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে দেয়ার পক্ষে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের দাবি, যুক্তরাজ্যকে ইইউ নয়, বরং ন্যাটোই বেশি নিরাপদ করেছে। ইউরোপে যুক্তরাজ্যের প্রভাব হারানোর জন্য তারা নিজ দেশের সরকারগুলোকেই দায়ী করছেন। উল্লেখ্য, ইইউতে থাকা-না থাকার প্রশ্নে আগামী ২৩ জুন গণভোট হবে ব্রিটেনে। এর মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। তবে ক্যামেরন মনে করেন, ইইউ ছেড়ে গেলে ইউরোপ মহাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রভাব কমে যাবে এবং ইইউ’র কোনো কোনো সদস্য তখন ব্রিটেনের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। ইউরোপের অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের জোট ছাড়ার বিরোধিতা করছে। তারা মনে করে, যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তে ২৮ জাতির এই জোট বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও জোট না ছাড়ার জন্য ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি বিশ্বে যুক্তরাজ্যের অবস্থান মজবুত করেছে। যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়লে পশ্চিমা বিশ্ব দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। যুক্তরাজ্য ইইউতে থাকলে সন্ত্রাসবাদ, অভিবাসন সমস্যা ও অর্থনৈতিক মন্দা আরো সফলভাবে মোকাবেলা করা যাবে। ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইইউতে যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্তিকে সহনশীল করতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি আরো বলেন, ইইউতে যুক্তরাজ্যের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর কিভাবে আরো শক্ত করা যায় সেটা খতিয়ে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, বহু মার্কিন ব্যাংক ও দেশটির অনেক কোম্পানি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুর্বল হবে। ইইউ পঙ্গু ও পাশ্চাত্য নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন ওবামা। তার মিত্রদেশটির দুর্দিনে ওবামা বৃটেনের পাশে থাকতে চান। তিনি বলেন, গণভোটে বৃটিশরা কোনটি বেছে নেয় সেটাই মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।