নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাদা পোষাকের খেলা এলেই অবধারিতভাবে দলে ডাক পড়ে তার। আস্থার প্রতিদানও দেন নিজের ঘূর্ণির জাদুতে। সেই মায়াজাল ভেদ করার মন্ত্র খুঁজে পায় না প্রতিপক্ষ। একা হাতেই ম্যাচ জিতিয়েছেন বেশ কিছু। সেই তাইজুল ইসলাম যে শুধুই টেস্ট বোলার নন, ভুলে যাওয়া সেই প্রমাণ মিলল আরেকবার।
এবারের বিপিএলে দলের প্রথম জয়ের নায়ক তিনি। ম্যাচ-সেরা হয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে। ৪ ওভারে ১০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট তাইজুল। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সেরা ছিল ১৮ রানে ৩ উইকেট। তবে এমন পারফরম্যান্সও খুব একটা আন্দোলিত করতে পারছে না দেশসেরা এই স্পিানরকে। খুলনা টাইটান্সের এই বাঁহাতি যাদুকরের ভাবনা, আরও ভালো কিছু করার জন্য ক্যারিয়ারের অনেক সময় পড়েই আছে।
ঢাকায় চার ম্যাচ হারার পর এবারের বিপিএলে খুলনা প্রথম জয় পেয়েছে সিলেটে এসে। মন্থর উইকেটে ১২৮ রানের পুঁজিকে যথেষ্টরও বেশি প্রমাণ করেছেন খুলনার বোলাররা। তাইজুল ছিলেন তার সেরা চেহারায়। দারুণ লাইন-লেংথ, টার্ন ও ফ্লাইটের বৈচিত্রে ভুগিয়েছেন রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানদের। খুলনা জিতেছে ২৫ রানে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের অনুভূতি জানতে চাওয়াতে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল জানালেন আরও ভালোর পথে ছোটার প্রত্যয়, ‘এখানেই শেষ নয়, ক্যারিয়ার তো পড়েই আছে।’
সাদা বলে বা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এই যে নিজেকে প্রমাণ করা- কথাটা নিয়েই আপত্তি আছে তাইজুলের, ‘সাদা বলের ক্রিকেট আজই প্রথম খেলছি, আগে কখনো খেলিনি, এমন তো নয়। এর আগেও (সীমিত ওভারের ক্রিকেটে) জাতীয় দলে খেলেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি। বিপিএলও খেলেছি। সব সময় আমি সব ধরনের ক্রিকেটই উপভোগ করি।’
তাইজুলের কথার একটাই অর্থ, ‘আমাকে টেস্ট বোলার বলবেন না প্লিজ!’ সত্যিই তো, ওয়ানডে অভিষেকেই যে হ্যাটট্রিক করা যায় সেটি তাইজুলই করে দেখিয়েছেন (২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। তবুও কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রঙিন পোশাকে তাঁকে দেখা যায় না? কঠিন প্রশ্ন। তবে তাইজুল আশা হারানোর পাত্র নন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেরা বোলিং তাঁকে নিশ্চয়ই নতুন করে উজ্জীবিত করছে! এ কথাতেও দেখা যাচ্ছে তাইজুলের আপত্তি, ‘ক্যারিয়ার এখনো পড়ে আছে। ক্যারিয়ার তো শেষ হয়নি!’
টানা চার ম্যাচ হারা খুলনা টাইটানসের সম্ভাবনা আছে বিপিএলের শেষ চার খেলা। তাইজুল বড় আশা নিয়ে বলছেন, ‘এখনো আমাদের সাতটা ম্যাচ আছে। এই ৭ ম্যাচের মধ্যে যদি ৪-৫ ম্যাচ জিততে পারি পরের ধাপে যাওয়া অসম্ভব নয়। পরের ধাপে যাওয়ার লক্ষ্যেই আমরা খেলব।’
টানা চার ম্যাচে হারের পর এই ম্যাচেও ভালো করতে পারেনি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। তবে তাইজুল জানালেন, উইকেট ব্যাটিং সহায়ক নয় বলেই জয়ের আশা ছিল তাদের, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সময়ই বুঝতে পেরেছিল যে, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন। আমাদের লক্ষ্য ছিল যত রান করা যায়, কারণ বুঝতে পারছিলাম দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটে ব্যাটিং করা আরও কঠিন হবে। অনেক স্পিন ও কাটার ধরছিল। টার্ন ছিল। আমাদের বোলাররা পরিকল্পনা মতোই বোলিং করেছে।’
সে না হয় খেললেন। কিন্তু এটা তো ঠিক, টুর্নামেন্টের শুরুতে খুলনা টানা হেরে ভীষণ চাপেই পড়ে গিয়েছিল। তাইজুল জানালেন সেই চাপ সামলে কীভাবে সিলেটে এসে জয়ের দেখা তাঁরা পেলেন, ‘ক্রিকেটে সব সময়ই চাপ থাকে। আমরা টানা চারটা ম্যাচ হেরেছি। এ অবস্থায় একটা দল অবশ্যই পিছিয়ে থাকে, এ সময় চাপ একটু বেশি থাকে। অফিশিয়াল-টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই আমাদের ভেঙে পড়তে মানা করেছে।’
ভেঙে না পড়ার ফল পেয়েছেন তাইজুলরা। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে টাইটান্সদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।