পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে তুমব্রু খালে মিয়ানমার অবৈধভাবে কেন পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে, তার কারণ জানতে চেয়ে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে তলব করার মাধ্যমে নেপিডোর কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে একটি কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা।
সূত্র জানায়, তলবের পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও বিকেল সাড়ে ৪টায় দুই প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন।
একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও‘কে গতকাল মঙ্গলবার ডেকে এনে জানতে চাওয়া হয়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে তুমব্রু খালে মিয়ানমারের পাকা স্থাপনা নির্মাণের কারণ কী।
এ সময় রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও জানান, তার জানামতে ওই স্থাপনা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখার ৩০০ গজের বাইরে। আর সেটা কোনো পাকা স্থাপনা নয়। ওইখানে আগে থেকেই অস্থায়ী স্থাপনা রয়েছে। ওই অস্থায়ী স্থাপনার খুঁটিগুলো স্থায়ী করা হচ্ছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও আরও জানান, এ বিষয়ে ঢাকার উদ্বেগ নেপিডোকে জানানো হবে।
এদিকে, একই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে গত সোমবার চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নেপিডোর সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নেপডো কাজ করছে। খুব শিগগিরই ঢাকাকে অগ্রগতি জানান হবে।
এর আগে, আরাকান আর্মি ও আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। মিয়ানমারকে গত ৮ জানুয়ারি কূটনৈতিক চ্যানেলে এই প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়।
মিয়ানমার সরকারকে দেওয়া প্রতিবাদপত্রে ঢাকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আরাকান আর্মি এবং আরসার কোনো ঘাঁটি নেই। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র আরাকান আর্মি ও আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছে তা বাংলাদেশের নজরে এসেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্রের ওই বিবৃতি মিথ্যা ও মনগড়া।
এছাড়া, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গত ৪ নভেম্বর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ৪১ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে গত ৭ নভেম্বর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। বিজিপি কেন এমন ঘটনা ঘটাল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে কূটনৈতিক চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে, মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (এমআইএমইউ) নামের দেশটির সরকারি একটি ওয়েবসাইটে মানচিত্রে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনকেও মিয়ানমারের মধ্যে চিহ্নিত করার ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।