পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রফতানী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস গার্মেন্ট শিল্পকে সরকার পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মালিক-শ্রমিকদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি গার্মেন্ট শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে তা মালিকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারের ব্যর্থতা গত কয়েকদিন ধরে ফুটে উঠেছে। বিদেশী কাউকে সুবিধা দিতে এর পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করছে বলেই দেশের জনগণ বিশ্বাস করে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে। বড় বড় পাটের গুদাম ও মিল-কলকারখানা কিভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তা জনগণ এখনও ভুলে যায়নি। এটা কাদের স্বার্থে করা হয়েছিল সেটাও জনগণ জানে। এখন ভুয়াভোটের সরকার গার্মেন্ট শিল্পকে নিয়ে বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে। বর্তমান ভুয়াভোটের সরকার এই শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার যে পাঁয়তারা করছে তার পরিণাম শুভ হবে না। যারা অর্থনীতির চালিকা শক্তি তাদের ধ্বংস করে অর্থনীতির বিকাশ সম্ভব নয়। গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন দমাতে হত্যা, লাঠিচার্জে ক্ষত বিক্ষত করা ও ব্যাপক গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে কোন সমাধান আসবে না।
তিনি বলেন, অবিলম্বে দেশের রফতানী আয়ের প্রধান উৎস এই গার্মেন্ট শিল্পকে রক্ষা করতে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মানতে হবে এবং আলোচনার ভিত্তিতে উদ্ভুত সমস্য সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধুমাত্র অলীক তৃতীয় পক্ষ বা অন্যের হাত আছে এসব বলে সংকটের সমাধান হবে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। গত কয়েকদিনেও চালের দাম ফের বেড়েছে কয়েক দফায়। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের লোকেরাই কারসাজি করে এই দাম বৃদ্ধি করেছে। দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বর্তমানে মোটা চালের দামও পঞ্চাশ টাকার নীচে নয়। অন্যান্য চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রিজভী বলেন, গত রোববার খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন-ইজ্জত রক্ষার্থে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখুন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীর ইজ্জত রেখেছেন চালের দাম আরও বৃদ্ধি করে। জনগণের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হলে ইজ্জত ঠিকই থাকতো। সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এ্যকশন নেয়ার ক্ষমতা খাদ্যমন্ত্রীর আছে কি না সেটিই বড় প্রশ্ন। কারণ চারিদিকে সরকারী দুর্নীতির জয়জয়কার। গরীব মানুষের পকেট কেটে বিপুল অর্থ লুটে নিচ্ছে সিন্ডিকেট। আর এদিকে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবন-যাপনে বাধ্য করা হচ্ছে। চালের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ক্ষুধার্ত থাকছে। এই চালের মৌসুমেও চালের দরের উর্দ্ধগতি সামনের মাসগুলোতে খাদ্য সংকটকে আরও ঘনীভ‚ত করবে।
বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে ভোট ডাকাতির নির্বাচন সম্ভব ছিল না মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম জিয়া বাংলাদেশের জনগণের মাঝে উচ্চারিত একজন জনপ্রিয় নেত্রীর নাম। তিনি জীবনে কখনও নির্বাচনে পরাজিত হননি। পাঁচটি ও সবশেষে তিনটি আসনে তিনি বাংলাদেশের যে প্রান্ত থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন সেখানেই তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এই জনপ্রিয়তাই তাঁর জন্য কাল হয়েছে। তাঁর এই জনপ্রিয়তা কোনভাবেই সহ্য করতে পারেনি আওয়ামী লীগ প্রধান ও দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা। তাই তিনি কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট নন এমন সব অভিযোগ ও মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে তাঁকে সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে সরকার।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতির পর গণতন্ত্রকে চ‚ড়ান্তভাবে শিকল পরানো হয়েছে। যারা এখন নিজেদেরকে সরকার বলে দাবি করছে তারা অবৈধ ও ভোট সন্ত্রাসী। বিরোধী দলগুলোর ওপর সর্বপ্রকার রাষ্ট্রীয় নৃশংস সন্ত্রাস চালিয়ে এবং সবধরণের নোংরা কৌশল অবলম্বন করে জনগণের ভোটাধিকার ছিনতাই করেছে। মানুষের বিশুদ্ধ নি:শ্বাস নেয়ার জন্য গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস প্রবাহিত করতে হবে। এজন্য দেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতি অপরিহার্য। আর জনগণের ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।