মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একজন শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন গ্রুপের নেতা এবং আরেকজন বিয়ের অনুষ্ঠানে গান করে বেড়ান, কিন্তু তাদের চেহারায় এতো মিল যে তিনি আফগানিস্তানের অন্যতম একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি হয়ে গেছেন। উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের আব্দুল সালাম মাফতুন দেখতে অনেকটাই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো এবং এজন্যে তিনি দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলে গানের এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে হয়ে গেছেন একজন তারকা- ‘আফগান স্টার’। খবর এএফপি।
একজন বিচারক এই দু’জনের চেহারার সাদৃশ্য তুলে ধরেছেন, এবং মাফতুন এখন সর্বশেষ আটজন প্রতিযোগীর সাথে পৌঁছে গেছেন ট্যালেন্ট শোর চূড়ান্ত পর্বে। বাদাখশান প্রদেশে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান। জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে তার কোন ধারণাই ছিল না। তিনি বলেন, ‘সোশাল মিডিয়াতে তার ছবি দেখার আগ পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।’ সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে মাতামাতি চলছে। তারা দুজন যে দেখতে এক রকম তার বহু ছবি আফগানরা পোস্ট করছেন সোশাল মিডিয়াতে। ‘আমাদের চেহারার মধ্যে যে এতো মিল সেটা আমার জয়ের সম্ভাবনাকে ৫০% বাড়িয়ে দিয়েছে,’ বলেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানের একজন বিচারক, আফগান-কানাডীয় শিল্পী কায়েস উলফাৎ যখন ১২ জন শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন তখনই আবিষ্কার করেন যে ট্রুডোর সাথে মাফতুনের চেহারার দারুণ মিল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম যে তিনি দেখতে আমার প্রধানমন্ত্রীর মতো। এটা নিয়ে তখন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল।’ এই মিলটার কথা তখন টেলিভিশনের অনুষ্ঠানেও তুলে ধরা হলো। এবং তারপরই মাফতুন হয়ে গেলেন আফগানিস্তানের নতুন সেলেব্রেটি। ‘আফগান স্টার’ অনুষ্ঠানটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। তালেবান সরকারের পতন ঘটার চার বছর পর ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয় এই ট্যালেন্ট শো। তারপর থেকেই জঙ্গি গ্রুপটি এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের বক্তব্য, এটি ইসলামবিরোধী।
মাফতুন সাধারণ রোমান্টিক প্রেমের গান করেন যেগুলো লোক সঙ্গীত থেকে নেওয়া। দারি এবং পশতু এই দুই ভাষাতেই গান করেন তিনি। গান গাওয়ার সময় তার পরনে থাকে তার প্রদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এই শো এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১শে মার্চ। ফার্সি নতুন বছরের ঠিক আগে। কিন্তু মাফতুন বলেছেন, শোতে তিনি বিজয়ী না হলেও তার কোন দুঃখ নেই কারণ ইতোমধ্যেই গান গেয়ে তার উপার্জন আগের চাইতে অনেক বেড়ে গেছে। এখন তিনি চান তিনি যার মতো দেখতে সেই কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।