নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওলে গুনার সুলশার যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন তখন আর্সেনালের থেকে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড। সেই সুলশায়ারের হাত ধরেই যেন হঠাৎ করেই অন্য এক ইউনাইটেডে পরিণত হয়েছে তারা। টানা ৬ ম্যাচ জয়ের পথে শক্তিশালী টটেনহ্যাম হটস্পারকে তাদেরই মাটিতে ০-১ ব্যবধানে হারালো রেড ডেভিলরা। জয়সূচক গোলটি রাশফোর্ড করলেও মূলত ইউনাইটেডের জয়ের নায়ক দলটির স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডেভিড ডে গিয়া।
দলের জয়ে দারুণ কীর্তি গড়েছেন কোচ সুলশারও। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলে প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছিলেন ম্যাট বাসবি। হোসে মরিনহোর বিদায়ের পর চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অন্তঃবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পাওয়া সুলশার গত শনিবার এফএ কাপে রিডিংয়ের বিপক্ষে সহজ জয়ে বাসবির সেই কীর্তি ছুঁয়েছিলেন। টটেনহ্যামকে হারিয়ে ৭০ বছরের বেশি পুরানো রেকর্ড নিজের করে নিলেন নরওয়ের এই কোচ।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে ডে গিয়াই ছিলেন নায়ক। হ্যারি কেইন, দেলে আলী, সনদের মুহুর্মুহু আক্রমণ একাই রুখে দেন তিনি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ইউনাইটেড। ১৮ মিনিটে মার্শিয়ালের শট রুখে দেন স্পার্স গোলরক্ষক লরিস। প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিটে রাশফোর্ড চমকে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। পগবার কাছ থেকে বাড়ানো বলে গোল করে ইউনাইটেডকে বিরতির আগেই ০-১ ব্যবধানে এগিয় দেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। বিরতির পর যেন বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হয় স্পার্স। ৪৭, ৪৯ ও ৫১ মিনিটে হ্যারি কেইন, দেলে আলিদের তিনটি আক্রমণ একাই নস্যাৎ করে দেন ডে গিয়া। দ্বিতীয়ার্ধসহ পুরো ম্যাচে কেইনদের ১১টি শট রুখে ইউনাইটেডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ভেতর তিনিই একমাত্র গোলরক্ষক যিনি এতগুলো সেভ করেও একটি গোলও হজম করেননি। ডে গিয়ার মতই রেকর্ড গড়েছেন তাদের নতুন কোচ সুলশায়ারও। প্রথম ইউনাইটেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ছয় ম্যাচেই জয় পেলেন তিনি। তার গোল্ডেন আর্মে যেন হঠাৎ করেই বদলে গেল ইউনাইটেড। ২২ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে আছে ম্যানইউ। আর ষষ্ঠ হারের স্বাদ পাওয়া টটেনহ্যাম ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।