নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপিএল দিয়েই মাত করে ২০১৫ সালে জাতীয় দলে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। এরপরে আলো ছড়িয়েছেন আরও বছর দেড়েক। অ্যাকশন শোধরানো, চোটে পড়া বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে তাকে। গেল ক’মাস ছন্দ হারিয়ে জাতীয় দলের আশেপাশেও ভিড়তে পারেননি। এবার আরেকটি বিপিএল দিয়েই হারানো জায়গা ফিরে পেতে চান। সেজন্য বোলিংয়ে আনছেন নতুনত্ব।
এবার বিপিএলে প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচ থেকে নিয়েছেন সাত উইকেট। চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন সিলেট সিক্সার্সের তাসকিন।
সেই ৩ উইকেটই আবার একই ওভারে। এই ম্যাচে দল হারলেও নিজের বোলিং নিয়ে ঠিক পথে এগুনোর কথাই জানালেন এই পেসার, ‘শেষ দুইটা ম্যাচ ভালো হয়েছে। এখনও অনেকগুলো ম্যাচ বাকি আছে। প্রত্যেকটা ম্যাচে ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করছি। তো মোটামুটি ভালোই হচ্ছে, খারাপ না। ফিটনেস, ভ্যারিয়েশন অনেক কিছু নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি, নতুনত্ব আনার জন্য। লাইন, লেংথ সব কিছু নিয়ে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস, আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে, সবকিছু যদি সহায় থাকে আবার সুযোগ আসতে পারে। যদি সুযোগ আসে ভালো করার চেষ্টা করব।’
আর এসব চেষ্টার লক্ষ্য একটাই, ফের লাল সবুজ জার্সি গায়ে উঠানো। বিপিএলের পর পরই বাংলাদেশ খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ডে, পরে আছে আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে খেলার আশা এখনো শক্তভাবেই ধরতে চান তাসকিন, ‘সত্যি কথা বলতে কী সব সময় বিশ্বাস করতাম, করি, করবোও জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখি। ২০১৮ সালটা চোট আর বাজে ছন্দ মিলিয়ে একটু খারাপ কেটেছে। কঠোর পরিশ্রম করছি, সামনেও করব।’
নিজের ভুল ত্রুটি শোধরানোর জন্য অবশ্য যেমন লোক দরকার তেমনই একজন কাছে পাচ্ছেন তাসকিন। সিলেট সিক্সার্সের কোচ যে কিংবদন্তি পাকিস্তানি পেসার ওয়াকার ইউনুস। তার কাছ থেকেই কলাকৌশল রপ্ত করে নিজেকে আগাতে চান ডানহাতি পেসার, ‘আমরা স্থানীয় বোলাররা সব সময় উনার সঙ্গে কথা বলে শেখার চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেন অনুমেয় বোলিং না হয়ে যায় সেদিকে উনি খুব জোর দেন। শুধু জোরে না বা শুধু ধীরে না, দুইটার মিশেলে সঠিক লাইন-লেংথে স্পট বোলিং নিয়ে উনি কাজ করছেন। আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করছেন উনি। আমাদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন যে, আমরা ভালো করতে পারব। এটা সম্ভব, আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। উনি অনেক আত্মবিশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আশা করি, আমরা বোলিং ইউনিট উনার কাছ থেকে সামনে অনেক কিছু শিখতে পারব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।