Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মারের জন্য কাঁদছেন তারাও

আজ থেকে শুরু বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের আসর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

এই রিপোর্ট যখন পড়ছেন ততক্ষণে হয়ত শুরু হয়ে গেছে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের আসর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। মেলবোন পার্কের এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে শহরময় শুরু হয় সাজ সাজ রব। অস্ট্রেলিয়ানরা এটাকে ডাকেন ‘হ্যাপি স্ল্যাম’ নামে। তবে এবারের টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই বিদায়ের রাগিনী বাজিয়ে অনেকের ‘হ্যাপি স্ল্যাম’কে ব্যাথাতুর করে তুলেছেন বৃটিশ তারকা অ্যান্ডি মারে।
চোঁটের কাছে হার মেনে আসর শেষেই টেনিসকে বিদায় বলতে পারেন মারে। শরীর পেরে উঠলে উইম্বলডন খেলার ইচ্ছার কথাটা অবশ্য জানিয়ে রেখেছেন। দুই দিন আগে দুইবারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সাবেক নাম্বার ওয়ানের এই আবেগঘন ঘোষণা অনেকের মত হৃদয় ছুঁয়ে গেছে রজার ফেদেরার-নোভাক জোকোভিচদেরও।
বিদায় একসময় সবাইকেই নিতে হয়, কিন্তু মারের এমন বিদয় মেনে নিতে পারছেন না রেকর্ড ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ও আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার, ‘যেভাবে আমরা তাকে (মারে) হারাতে যাচ্ছি তা একই সঙ্গে হতাশা ও দুখের, কিছুটা ব্যাথারও। তবে একটা সময় আমরা সবাইকেই হারাবো। এটা কেবল এখন ও তখনের ব্যাপার।’ মাঠের প্রতিপক্ষকে ৩৭ বছর বয়সী সুইচ তারকা শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘আশা করি সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ভালো খেলবে এবং পরেও এটা চালিয়ে যাবে।
যে কারণে বিদায় বলছেন মারে সেই ইনজুরির সঙ্গে পরিচয় নেই কার। ফেদেরার-নাদালের তো ক্যারিয়ারই শেষ হতে বসেছিল। সেই অন্ধকার সময় পার করে তারা ঘুঁরে দাঁড়িয়েছেন। চলতি বছরে আটত্রিশে পাঁ দেবেন ফেদেরার। তবে মারে নিজের প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছেন না। উইম্বলডনকেই তাই নিজের শেষ বিন্দু হিসেবে ঠিক করেছেন ৩১ বছর বয়সী মারে। দুইবার অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী মারের ক্যারিয়ারকে ফেদেরার মূল্যায়ন করে বলেন, ‘যা চেয়েছিল তার সবকিছুই সে জয় করেছে। যে কেউই তার ক্যারিয়ারকে মারের সঙ্গে বদল করতে চাইব।’
ইনজুরির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক জোকোভিচেরও। মারে-জোকোভিচের জন্ম ১৯৮৭ সালের মে মাসে মাত্র এক সপ্তার ব্যবধানে। ২০১২ সালে জোকোভিচকে হারিয়েই প্রথম গ্র্যান্ড ¯ø্যাম ইউএস ওপেন জেতেন মারে। পরের বছরে উইম্বলডনের ফাইনালেও হারান সার্বিয়ান তারকাকে। মারের কল্যাণেই ৭৭ বছর পর কোন বৃটিশের হাতে ওঠে উইম্বলডন। তবে মেলবার্নে পার্ক মারের জন্য চরম হতাশার নাম। এখানেই চারবার ফাইনালে জোকোভিচের কাছে হারতে হয়েছে মারেকে। সব মিলে ১৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী জোকোভিচের কাছে পাঁচ ফাইনালে হেরেছেন ফাইনালে। সবকিছুই এখন জোকোভিচের কাছে মধুর স্মৃতি, ‘কোর্ট এবং কোর্টের বাইরে তার সঙ্গে আমার যে মধুর স্মৃতি আছে সেটা আমি বয়ে বেড়াব। আমরা অনেকগুলো অসাধারণ ম্যাচ খেলেছি।’ ফেদেরারের মত সহানুভুতি ফুটেছে তার মুখেও, ‘তাকে ব্যথার সঙ্গে লড়াই করতে দেখে খুব দুঃখ পেয়েছি। দীর্ঘ দিনের বন্ধু, সহকর্মী ও প্রতিপক্ষর এমন পরিস্থিতি আমাকে ব্যথিত করেছে।’
রয় এমারসনের ৬ শিরোপার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্টের বাছাই মিচেল ক্রুগারের ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবেন র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা জোকোভিচ। একই রেকর্ডের সঙ্গে ক্যারিয়ারের সেঞ্চুরি শিরোপা জয়ের হাতছানি র‌্যাঙ্কিয়য়ের তিন নম্বর তারকা ফেদেরারের সামনেও। ফেদেরারের টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে আজই, প্রতিপক্ষ উসবেকস্তানের ডেনিস ইস্তোমিন। দুইয়ে থাকা স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালের টুর্নামেন্ট যাত্রা এতক্ষণে হয়ত শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া সাতটায় ৩২ বছর বয়সী ১৭ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জেমস ডাকওর্থ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মারের জন্য কাঁদছেন তারাও

১৪ জানুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ