নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পারেন নি নিয়মিত ঝড় তোলা হজরতউল্লাহ জাজাই। তারপরও রনি তালুকদার-সুনিল নারাইন যুগলবন্দীতে ১২ ওভারেই আসে ১০০। ব্যাটিং নির্ভর ঢাকা ডায়নামাইটস যে আরো একটি বড় পূঁজি পাচ্ছে ততক্ষণে তা নিশ্চিত। তবে তাসকিন আহমেদের গতির ঝড়ে মাত্র ২০ রানে (১০৫ থেকে ১২৫ রানে) ৫ উইকেট হারিয়ে সে আশা ভেঙ্গে পড়েছিল তাসের ঘরের মত। সেই বিপর্যয় থেকে শেষ দিকে দলকে টেনে তুলেন নুরুল হাসান এবং মোহাম্মদ নাইম। আর তাতেই ৭ উইকেটে ১৭৩ রানের বিশাল রান পাহাড় গড়ে সাকিব আল হাসানের দল। যে লক্ষ্য তাড়ায় একাই লড়লেন নিকোলাস পুরান, যা ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি সিলেট সিক্সার্সের। ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থামে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকার জয়টি ৩২ রানের। চার ম্যাচে ঝুলিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শির্ষে থাকা গতবারের রানার্স আপ দলটি এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজেয়। তিন ম্যাচ খেলা সিলেটের হার দুটিতে।
এর আগে হোম অব ক্রিকেটে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। সূচনা করতে এসে জাজাই তেমন একটা ভালো করতে না পারলেও নারাইন ও রনি তালুকদার ঠিকই দলকে টেনে নিয়ে যান। জাজাই ৪ রান করে সোহেল তানভিরের বলে আফিফের হাতে ধরা পড়লে নারাইন ও রনি দলের বড় সংগ্রহে দারুণ ভুমিকা রাখেন। নারাইন ২৫ রান তুলে আউট হলেও রনি ঠিকই হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রান করে থামেন রনি। অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান ১৮ রানে ও মো: নাইম ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের তাসকিন আহমেদ ৩৮ রানে পান ৩টি উইকেট।
জবাবে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে সিলেট। ৭ ওভার শেষে ৪১ রান তুলতেই হারায় পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে ওয়ার্নারকে ব্যাক্তিগত ৭ রানে পোলার্ডের তালুবন্দী করেন সাকিব। এই ক্যারিবিয়ানের হাতেই আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেনকে ৪ রানে ফেরান শুভাগত হোম। আরেক ওপেনার লিটন দাস ৯ রানে নারাইনের বলে ধরা পড়েন শুভগতকে ক্যাচ দিয়ে। সেই চাপে আর পেরে ওঠেনি সিলেট। এরপর যাওয়া আসার মিছিলে যোগ দেন নাসির হোসেন, সেই সাকিবের বলেই মাত্র ১ রান করে ক্যাচ দেন রাসেলের হাতে। ঝড় তেলার আভাস দিয়েও সাব্বির রহমান ব্যাক্তিগত ১২ রানে আউট হন রুবেলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের দক্ষ হাতে।
এর পরই শুরু হয় সিলেটের ম্যাচে ফেরার গল্প। একা হাতে লড়াইটা চালিয়ে যান পুরান। ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান তাণ্ডব চালান প্রতিটি বোরারের ওপরই। ৪৭ বলে খেলেন ঝড়ো ৭২ রানের ইনিংস। যেখানে মাত্র একটি চারে বীপরিতে ছিল ৯টি ছক্কা! তবে তাতেও হয়নি ভাগ্য বদল, হারের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সিক্সার্সকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।