নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টিভি সম্প্রচার ও ধারাভাষ্যের মান অনেক আগ থেকেই সমালোচিত। স¤প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বদলালেও, বদলায়নি মান। উল্টো দিন দিন যেন নিম্নমুখী। ছবি, শব্দ, প্রযুক্তির ব্যবহার, ক্যামেরার কাজ, গ্রাফিক্স সমস্যার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে স্কোরকার্ডে ভুল। ভুল খেলোয়াড়দের নাম ও বয়স জানানোতেও। এতো এতো সমালোচনার পরও বিপিএলও নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিপিএলের প্রতি আসর শুরুর আগে নানা ধরণের প্রতিশ্রতি বানী শুনিয়ে যান বিপিএল গভর্নিং কমিটি। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু এবারের আসরে সমালোচনা আরও বেড়েছে। তবে প্রথমবারের মতো এবার ব্যবহৃত হচ্ছে ডিআরএস সিস্টেম। আলট্রা এজ ছাড়া সেটাও ছিল আধুরা। তবে শুক্রবার থেকে তার ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু বাকী সব সমস্যা এখনও চলছে আগের মতোই।
তবে এতো সমালোচনা গায়ে মাখছেন না বিপিএল গভর্নিং কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। উল্টো জানিয়ে গেলেন নিজের সন্তুষ্টির কথা, ‘গ্রাফিক্সের কয়েকটি ভুল আমাদের চোখে পড়েছে, হয়তো আরও কিছু ভুল আছে যেগুলো আমাদের চোখে পড়ে নি। আমরা কিন্তু এই ভুলগুলো সময়মতো জানাচ্ছি যেন পরবর্তীতে আর ভুল না হয়। আর জনবলের ক্ষেত্রে কোনও কমতি নেই। আমাদের ড্রোনটি এসেছে কানাডা থেকে, স্পাইডার ক্যাম অস্ট্রেলিয়া থেকে। ঠিক আইসিসি যেটি ব্যবহার করে। একই মানুষ এই সিস্টেম অপারেট করছে। সুতরাং এখানে কোনও ভুল হয়নি, ভুল আসলে একটি হলো ধারাভাষ্যকারের।’
প্রথম আট ম্যাচে ডিআরএসে ছিল না আল্ট্রা এজ প্রযুক্তিই। এ যেন নুন ছাড়া তরকারির মতো। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি ছাড়াই কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত টিভি আম্পায়াররা রিভার্স করেছেন। নিয়ম হলো মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলাতে হলো স্পষ্ট প্রমাণ হাতে পাওয়া চাই টিভি আম্পায়ারের। আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি ছাড়া তা সেটা কীভাবে পেয়েছিলেন কেবল তারাই জানেন।
প্রতিদিন এতসব ভুলের পরও আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি যোগ করেই মল্লিক তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বললেন, ‘প্রোডাকশনের ভুল নেই। আমাদের ধারাভাষ্যকার কয়েকটা হয়তো ভুল বলেছেন। আর একদিন গ্রাফিক্সে একজন ক্রিকেটারের বয়স ভুল দেখানো হয়েছে। সেটা টাইপিংয়ের ভুল। খুব বড় কিছু নয়। প্রত্যেক জিনিসেরই উন্নতির অনেক বিষয় আছে। আমরা বলছি না যে এটি সেরা প্রোডাকশন। তবে প্রযুক্তির এবং যন্ত্রপাতির দিক থেকে এখন পর্যন্ত এর থেকে যন্ত্রপাতি আইসিসি বিশ্বকাপেও ব্যবহার করে না। যেগুলো সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার হয় সেগুলো আমরা নিয়ে এসেছি। এখন প্রশ্ন হতে পারে মান নিয়ে যে মানের উন্নতির কোনও ক্ষেত্র আছে কিনা। আপনারা আমাদেরকে বলেছেন এবং আমার জালাল ভাই এবং সোহেল ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি। উন্নতির চেষ্টা করছি এবং ধারাভাষ্যকারের ব্যাপারটিও দেখা হচ্ছে। সামনে আরও নতুন প্যানেল আসবে এবং এর থেকেও উন্নতি করার সুযোগ আছে আমরা সেটি চেষ্টা করছি।’
গ্রাফিক্সের ভুলগুলো এরপর আরও নির্দিষ্ট করে প্রশ্ন রাখলে জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্রাফিকসে যে ভুলগুলি আছে, আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। চেষ্টা করব ঠিক করার। ধারাভাষ্যকাররাও মানুষ। তাদের ভুলকে মানুষের ভুল হিসেবে নিতে হবে। প্রোডাকশনের কোনো কিছু না। ধারাভাষ্যকার প্যানেলে আমরা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। সামনে ড্যারিল কালিনান, ড্যানি মরিসন আসবে। যারা বারবার ভুল করবে, তারা থাকবে না প্যানেলে।’
চলতি আসরে বেশ মান সম্পন্ন খেলোয়াড়ই এসেছে বিপিএলে। যা অন্যান্য কোন বছরে ছিল না। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলদের মতো খেলোয়াড়রা থাকলেও নানামুখী সমস্যায় সমালোচনা এড়াতে পারছে না বিসিবি। বিশেষ করে টিভি সম্প্রচারের নিম্নমানে টুর্নামেন্ট জৌলুস হারিয়েছে অনেকটাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।