নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন এলবিডবøু থেকে। কিন্তু পরের বলটা পেলেন একেবারে পছন্দের লেংথে। রস গোল্লার মতো ডেলিভারি আরকি! ক্রিস গেইল এতটুকু দেরি করেননি। সোজা ব্যাটে তুলে মারলেন বোলারের মাথার ওপর দিয়ে। মাঠের সবচেয়ে নিরাপদ অঞ্চলে। গেইলের আরেকটি ছক্কা- এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু আন্দ্রে রাসেল যা দেখালেন তাতে শুধু দর্শকদের মাথায় হাত, আর গেইলের মুখে অবিশ্বাসের হাসি!
গেইল কেবল হাত খুলতে শুরু করেছিলেন। শুভাগত হোমের করা ওই ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন। পরের বলে তো বাঁচলেন রিভিউ নিয়ে। কিন্তু তৃতীয় বলে আর পারেননি। আসলে রাসেল হঠাৎ বাজপাখি হয়ে ওঠায় নিশ্চিত ছক্কা পাওয়ার বদলে গেইলকে হতে হয়েছে ক্যাচ আউট! লং অফ অঞ্চল থেকে দৌঁড়ে এসে অবিশ্বাস্য ক্যাচটি নিয়েছেন রাসেল। ভুল হলো। ক্যাচ নিয়েছেন আসলে কাইরন পোলার্ড। কিন্তু ওই ক্যাচের পরতে পরতে থাকবে শুধুই রাসেলের নাম।
বাতাসে ভাসতে থাকা বলটা সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে, এটা বুঝতে পেরে স্প্রিংয়ের মতো লাফ দিয়েছেন রাসেল। ডান হাতে বলটা তালুবন্দীর পর বুঝতে পেরেছিলেন সীমানার ওপাশে চলে যাচ্ছেন। লং অন থেকে ততক্ষণে দৌড়ে চলে আসা পোলার্ডকে দেখতে পেয়েই বলটা ছুড়ে মেরেছিলেন সতীর্থের দিকে। বলটা তালুবন্দী করে পোলার্ড শুধু ক্যাচের আনুষ্ঠানিকতাই সেরেছেন। গোটা কৃতিত্ব যে রাসেলের। এখানে ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানেরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। পোলার্ড ও রাসেলের উচ্চতা এবং ফিল্ডিংয়ে তাঁদের সামর্থ্য বিবেচনা করেই দুজনকে সম্ভবত লং অফ ও লং অনে রেখেছিলেন সাকিব। ফলটা পেলেন হাতে নাতে। আর দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে রাসেল ও পোলার্ড এমন ক্যাচ আগেও নিয়েছেন। তাঁদের যৌথ প্রযোজনায় এবার তা দেখলেন বিপিএলের দর্শকেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।