Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারকে বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’ ও সশস্ত্র রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’ নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। গত মঙ্গলবার ক‚টনৈতিক চ্যানেলে মিয়ানমারকে এ প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়ে। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মিয়ানমার সরকারকে দেওয়া প্রতিবাদপত্রে ঢাকা বলে, বাংলাদেশে আরাকান আর্মি কিংবা আরসার কোনো ঘাঁটি নেই। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র আরাকান আর্মি ও আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছে তা মিথ্যা ও মনগড়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে দুইটি আরাকান আর্মি ও তিনটি আরসার ঘাঁটি রয়েছে। দেশটির এমন মন্তব্যে বাংলাদেশ আহত ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোসহ এমন মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। সন্ত্রাস বিষয়ে বাংলাদশ কোনো ছাড় দেয় না। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিদেশি সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম চালানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সন্ত্রাস ও চরমপন্থা নির্মূলে বাংলাদেশ বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের ভেতরে বিদেশি কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব থাকার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশ বিদেশি কোনো সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকেও প্রশ্রয় দেয় না। বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রহরীরা সার্বক্ষণিকভাবে সীমান্তসহ সারাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্তায় আরও বলা হয়, সন্ত্রাস ও চরমপন্থা নির্মূল করতে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ একাধিকবার মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানালেও দেশটি এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।



 

Show all comments
  • Ziya Uddin Bablu ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
    এই মুহূর্তে প্রয়োজন শুধু একজন মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। ততকালিন BDR এর মহাপরিচালক।যিনি আমাদের পার্শ্বদেশ ভারত ও মিয়ানমারের সাথে ২০০০ ও ২০০১ এরর সীমান্ত সংঘাত এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব ও সাহসিকতা প্রমাণ করেছিলেন। মিয়ানমার কে আবারও শিক্ষা দেওয়া অবধারিত ও নৈতিক দায়িত্ব ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohsin Khan ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের সামনে মায়ানমারকে শায়েস্তা করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে, সরকার জনমত তৈরি করে মায়ানমারের বিরোদ্ধে হুমকি দিতে পারেন। এই কাজটি করতে পারলে বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। আর যারা মায়ানমারের কাছের দেশ তাহারা এগিয়ে আসবেনা,কারন সারা বিশ্ব মায়ানমারের হত্যাযর্ঘের সম্পর্কে জানেন। এই কাজটি করতে পারলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উজ্জল হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ajoy Kumar Roy ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
    আরো কড়া প্রতিবাদ করা উচিত। ওদেরকে এখনই দমন না করলে সমূহ বিপদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভয় পাবেন না। বাংলাদেশের মানুষের রক্ত দেয়ার অভ্যাস আছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ ১৯৭১ সালের মতো আবারও অস্ত্র হাতে তুলে নিবে। আমার অহঙ্কার, আমার দেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ।
    Total Reply(0) Reply
  • Maftoon Ahmed Khan Rubel ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 1
    ভুপাতিত করার সেই নৈতিক সাহস তো থাকতে হবে,,,!!! ,,, ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার কখনওই সাহসী ভুমিকা রাখতে পারবেনা,,,, কারন তাদের দিনের পুরা সময় ব্যয় করতে হয় বিরুদ্ধ মতাবলম্বী দের দমন করতে,, আর ভারতকে তোষামোদি করতে,,
    Total Reply(0) Reply
  • Asraful Islam ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
    মায়ানমারের মত দেশও আমাদের সিমান্তের ভিতরে গুলি চালায়। এই জন্যই কি দেশের কষ্টেঅর্জিত কোটি কোটি দিয়ে। বিজিবি, সেনাবাহিনী কে ট্রেনিং করানো হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Islam ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
    আমাদের এখন কার আবাইল্লা বিজিবি না পারে ভারতীয় সীমান্তে না পারি মায়ানমার সীমান্তে কিন্তু এক সময় বিডিআরের হুংকারের ভারতীয় ও মায়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ভয়ে কাপত.....
    Total Reply(0) Reply
  • Md Dalower ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৯ এএম says : 0
    মিয়ানমারের সাথে সকল সম্পর্ক বাংলাদেশের ছিন্নকরা যরুরী।চাইনা এমন বন্ধু দেশ।
    Total Reply(0) Reply
  • নুরুল আবছার ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১০ এএম says : 0
    প্রতিবাদ শব্দটি এখন বাংলাদেশের জাতীয় ডাইলগ।।। এটিকে ইউনোস্কো দ্বারা স্বীকৃতি দেওয়া হোক।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Iqbal Chowdhury ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১০ এএম says : 0
    শুধু প্রতিবাদই করেন, পাছায় লাথি খান। সরকার সেনাবাহিনীককে হিজরা বানিয়ে রেখেছে। অতিতে মিয়ানমার শুয়রের জাত এত সাহস দেখায় নাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ