পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় সবার উপরে রয়েছে বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয় গেল অর্থবছরে বাংলাদেশের আনুমানিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। একই সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৩ আর পাকিস্তানের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক অনুমান করছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। আর বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী অর্থনৈতিক কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারতের আনুমানিক প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা মন্থর হতে পারে। ফলে এই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ নিয়ে তুলে ধরা পর্যবেক্ষণে বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি ছিল শক্তিশালী ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স প্রবাহ। তবে ক্রমবর্ধমান হারে খাদ্য ও যন্ত্রপাতি আমদানি এবং দুর্বল রফতানির ফলে নিট রফতানি ছিল নেতিবাচক।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আনুমানিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৭ আর শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি হবে চার শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে ৪১তম অবস্থানে রেখেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গত বছর এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৩তম। সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)-এর এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত। এশিয়ার অন্যান্য অনেক দেশের ন্যায় আগামী ১৫ বছরে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বাংলাদেশের। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৩৬তম, ২০২৮ সালে ২৭তম এবং ২০৩৩ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। সিইবিআর প্রতিবেদনের ১০ম সংস্করণে বলা হয়েছে, আমরা আশা করছি ২০১৮ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক গড়ে সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। এতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের ১৯ ধাপ উন্নতি হবে এবং ২০৩৩ সালে দেশটি ২৪তম অবস্থানে উঠে আসবে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য গ্লোবাল ইকোনমিস্ট ফোরাম (জিইএফ) সম্প্রতি বলেছে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিক থেকে ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম সুখের বছর। এ বছর তার প্রবৃদ্ধির হার হবে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসোক) সংস্থা জিইএফ সম্প্রতি ২০১৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কেও পূর্বাভাস দিয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। এতে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে পারে। দেশে যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে, সেখানে এই বিনিয়োগ আসতে পারে বলে তারা মনে করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।