বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব অব্যাহত রয়েছে। লেনদেনের পাশপাশি বেড়েছে সূচক। সপ্তাহের চতুর্থ দিন গতকাল প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২৮ পয়েন্ট বেড়েছে। চলতি বছরের সাত কার্যদিবসে এই সূচক বেড়েছে ৪১৫ পয়েন্ট। শতাংশ হিসাবে ৮ শতাংশের মতো। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বুধবার বেড়েছে ৭১ পয়েন্ট। ডিএসইতে এক হাজার ২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। গত মঙ্গলবার এই বাজারে এক হাজার ১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
তবে সিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমেছে। গত মঙ্গলবার এই বাজারে ৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। গতকাল হয়েছে ৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। টানা ১১ দিন বাড়ার পর গত সোমবার সূচক কমেছিল বাজারে। পরের দিন মঙ্গলবার বড় উল্লম্ফন দিয়ে ফের তেজিভাব ফিরে বাজার। এদিন ডিএসইএক্স ১১৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বাড়ে। শতাংশ হিসাবে যা ছিল ২ শতাংশের বেশি। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা নিয়ে শুরু হয় লেনদেন। শেষ পর্যন্ত তিনটি সূচকই বাড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
এদিন ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৯৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১৬১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকেই বাজারে অল্প অল্প সূচক বাড়তে শুরু করে। ভোটের পর সূচক বাড়ছে বেশ গতিতে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭১ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৭৭৯ দশমিক ৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৬৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১২১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর।