পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই দেশের শেয়ারবাজারে হঠাৎ উল্লম্ফন দেখা দেয়। এমনকি গতকাল মঙ্গলবার তা অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত দশ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স প্রায় সাড়ে ৯ মাস পর আবারও পাঁচ হাজার সাতশ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় ধরনের রাজনৈতিক হানাহানি ছাড়াই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত এবং সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় শেয়ারবাজরে ইতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী পরিবর্তন হওয়া শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখা দিয়েছে। শেয়ারবাজারে এমন উত্থানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড পাবলিক পলিসি বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত এবং অর্থমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে। ফলে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। তারই প্রতিফল দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে। এখন বাজারে যে বড় উত্থান হচ্ছে, সেটা স্বাভাবিক। এটা প্রত্যাশিতই ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, নির্বাচনের পর নতুন বছরে শেয়ারবাজারে ছয় কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
অবশ্য টানা ১১ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সোমবার ডিএসই এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কিছুটা দরপতন হয়। তবে এ দরপতনের পরের কার্যদিবসেই দশ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্থানের দেখা মিলে। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ১ এপ্রিলের পর ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স একদিনেই একশ পয়েন্টের ওপরে বেড়েছে। মূল্য সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি এদিন বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে অপর দুটি মূল্য সূচকেও। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার এক পয়েন্টে অবস্থান করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা হওয়ায় শেয়ারবাজারে এমন উত্থান প্রতাশিত। এখন বাজার যে আচরণ করছে আমার দৃষ্টিতে তা খুবই ভালো। তবে বাজারে যাতে কেউ দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে খেলা করতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
এদিকে মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১০ কোটি তিন লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ২৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৭৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৩টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৮০টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির দাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।