বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আশুলিয়ায় ধর্ষনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের একদিন পর রহস্যজনক মৃত্যু হয় নিযাতনের শিকার এক কিশোরীর। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ধর্ষনের ঘটনায় অপমান ও ক্ষোভে আত্নহত্যা করছে বলে পুলিশরে দাবী। এঘটনা পুলিশ আবদুর রহিম নামে একজনকে আটক করেছে।
সোমবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাসপাতাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রোববার দুপুরে আশুলিয়া থানায় ধর্ষনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন নিযাতিত ওই কিশোরী। আটক আবদুর রহিম পাবনা জেলার সাথিয়া থানার পিপুলিয়া গ্রামের আবদুর সাত্তারের ছেলে।
নিহত কিশোরীরর লিখিত অভিযোগে দেখা যায়, আশুলিয়ার জামগড়ার পোশাক কারখানা থেকে সন্ধ্যায় ছুটি শেষে বের হয়ে যাওয়া পথে শিপন ও রিপনসহ আরও দুই বখাটে তাদের গতিরোধ করে। পরে তাদের সহায়তায় রিপন তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
নিহত কিশোরীর মা আফরোজা বেগমের দাবী, গত শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকা পোশাক কারখানা থেকে ছুটি শেষে কথিত প্রেমিক রহিম তাকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে আরও দুইজন মিলে কিশোরীকে ধর্ষন করে। এদেক আজ সকালে কিশোরীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহতের বাবা আবু হানিফ জানান, শনিবার রাতে মেয়ে ফোন করে টাকা চায় ও বলে তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত যেন টাকা পাঠায়। পরে রাতে অপরাধীরা তার মেয়ে বাসার সামনে ফেলে দিয়ে যায়। অঅমি এঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। অপরাধীদের ফাঁসি চাই।
এ দিকে ধর্ষনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগের মামলার তদন্তকারী, অভিযোগ পাওয়া পর ঘটনাস্থলে যাই। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, এ ঘটনায় ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ধর্ষনের ঘটনা ও মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। আরও তদন্ত ও ময়না তদন্ত শেষে বলা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।