মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্রাট নেপোলিয়নের সোনা। ২০৬ বছর যা হন্যে হয়ে খুঁজছেন বহু মানুষ। প্রায় ৮০ টনের সেই বিপুল স্বর্ণ ভান্ডারের হদিশ কি পাওয়া গেল অবশেষে? রাশিয়ার বিজ্ঞানী ভায়াচেসলাভ রিজকোভ সম্প্রতি সেই সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করলেন। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বলেছিলেন, স্মোলেনস্ক এলাকার সেমলেভো বা নেপোলিয়ান লেকে সোনা রয়েছে। বহু ইতিহাসবিদের দাবি এমনই। রিজকোভের দাবি, সেমলেভো নয়, সম্রাট আসলে এই জায়গা থেকে ৪০ মাইল দূরে লুকিয়েছিলেন এই সোনা। আসল এই সোনা রয়েছে লেক বোলশায়ায়। নেপোয়িলনই রাশিয়ার জার আলেকজান্ডার ১-এর দৃষ্টি ঘোরাতে লেক সেমলোভোর কথা বলেছিলেন। আসলে নাকি ১৮১২ সাল থেকে মস্কোর কাছে এই অঞ্চলেই রয়েছে সোনা। নেপোলিয়ানের ঘনিষ্ঠরাই এই কাজে তাকে সাহায্য করেন বলেও দাবি রিজকোভের। রুডনিয়ার কাছে মস্কো থেকে প্রায় ৪০০ কিমি দূরে বোলশায়া রুতাভেচ লেকে এই সোনা ও গুপ্তধন ফেলে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন ইতিহাসবিদ। বেশ কিছু সোনা গলিয়ে বার তৈরি করেও পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল আলেকজান্ডার ১ কে ধোঁকা দিতে।
ইতিহাসবিদদের বহু দিনের দাবি, ৪০০টি ওয়াগন ভর্তি সোনা নেপোলিয়নের ৫০০ জন ঘোড়সওয়ার ও ২৫০ জন এলিট ওল্ড গার্ডের পাহারায় ছিল। নেপোলিয়ন নিজে এই গুপ্তধন ও সোনার সমাধিস্থ হওয়া দেখতে গিয়েছিলেন, জানান রিজকোভ। ডিসেম্বরের ঠান্ডায় ওয়াগন ভর্তি সোনার সবটাই ফেলে দেওয়া হয়েছিল লেকে। ১৯৮০ সালে এই লেকের পানিতেই প্রচুর রুপা মিলেছিল। ওয়াল্টার স্কট তার ‘দ্য লাইফ অব নেপোলিয়ন বোনাপার্ট’-এ উল্লেখ করেছেন এই সোনার কথা। এর পর থেকেই এই বিপুল সোনা নিয়ে উৎসাহ আরও বেড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেমলেভো লেকে থেকে অনেক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হলেও কোনও দিনই সোনাদানা উদ্ধার হয়নি। ৬০ ও ৭০ এর দশকে রাশিয়া এই সোনা উদ্ধারের চেষ্টা করেছে অসংখ্যবার, কিন্তু সফল হয়নি।
বহু বছর ধরে এই এলাকায় সোনার সন্ধান করছেন ভ্লাদিমির পোরিভেইভ নামে এক ইতিহাসবিদ। তিনি বলছেন, রিজকোভের দাবি ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মাঝে বরফ জমা লেকে কেন সোনা রাখা হবে? এর কোনও যুক্তি নেই। ২০০ বছর পরেও তবে প্রাচীন আমলের সোনার সন্ধানে লেকগুলি নিয়ে উৎসাহ বেড়েই চলেছে। সূত্র: দ্য সান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।