বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রোববার রাত দেড়টার দিকে মামলার নয় নম্বর আসামি ছালাউদ্দিনকে (৩৫) ফেনী জেলার সুলতানপুরে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
ছালাউদ্দিনের বাড়ি সুবর্ণচরের চর জুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে। তাকেসহ এ মামলায় মোট আটজনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩০ ডিসেম্বর ওই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
ধর্ষণের শিকার চল্লিশোর্ধ ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।
মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিন এবং তার ‘প্রধান সহযোগী’ হাসান আলী বুলুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, বুলু ওই ঘটনার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’। ভোটকেন্দ্রে তার সঙ্গেই ওই নারীর ঝামেলা হয়েছিল। পরে সে দশ হাজার টাকায় কয়েকজন ইটভাটা শ্রমিককে ভাড়া করে ওই নারীকে ‘শায়েস্তা’ করার জন্য।
এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার বাসু, সোহেল ও স্বপনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল।
তিনি জানান, রোববার জেলার দুই নম্বর আমলি আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।