নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জাতীয় দল কমিটির কাছে নিজের কৃত কর্মকাÐের জন্য ক্ষমা চাইলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও মিডফিল্ডার সোহেল রানা। গতকাল এ দুই ফুটবলার জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি দিয়ে এই ক্ষমা প্রর্থনা করেন।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মামুনুল। আর ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা জুটেছে সোহেল রানার কপালে। কাল সকাল ১১টায় বাফুফে ভবনে হাজির হন মামুনুল ও সোহেল। যখন ভবনে কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন না। দু’জনের হাতেই ছিল লেটার অব অ্যাপোলজি। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছেন জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে। চিঠি দেয়ার উদ্দেশ্য, নিঃশর্ত ক্ষমা পেয়ে জাতীয় দলে ফেরা। বাফুফের অফিসে দায়িত্বশীল কেউ না থাকায় মামুনুলরা অভ্যর্থনা কক্ষেই চিঠিটি জমা দিয়ে যান। দুপুরের পরে এই চিঠি পৌঁছে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের কাছে। দুই ফুটবলারের চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে সোহাগ বলেন,‘মাত্রই দু’জনের চিঠি পেয়েছি। এই চিঠি জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। আশাকরি নিষিদ্ধ বাকি দু’জনও সহসাই চিঠি দেবেন। চারজনের ব্যাপারে খুব শিঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় দল কমিটি।’
চিঠি দেয়ার পর মামুনুল বলেন, ‘ভুল স্বীকার করে আবেদন করেছি। আশা করছি খুব শিঘ্রই জাতীয় দল কমিটি আমাদেরকে খেলার সুযোগ করে দেবে। আমরা দেশের হয়ে সর্বোচ্চটাই ঢেলে দিতে চাই। আমি এতদিন মাঠের বাইরে থাকলেও মূল একাদশে জায়গা করে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে শতভাগ ফিট রাখার চেষ্টা করছি।’
জাতীয় দলে আবার নিয়োগ পাওয়া ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ মামুনুল বলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি নির্ভর করে বাফুফের উপর। তবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আমরা একমাত্র পয়েন্টটি পেয়েছি ক্রুইফের তত্বাবধানেই। আসন্ন তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাজিকিস্তানের ঠাÐা আবহাওয়া আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা হলেও আমরা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে চাই। ওদের মাটি থেকেই পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে চাই। যা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করি আমি।’
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গত ২ মার্চ সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনকে এক বছরের জন্য এবং ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে ছয়মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলো বাফুফে। এ ছাড়া গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল, ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু ও ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্নাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিলো।
গত শনিবার বাফুফের নব-নির্বাচিত কার্য-নির্বাহী কমিটির প্রথম সভা শেষে জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ এমপি নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের দলে ফেরানোর উদ্যোগের কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ফুটবলাররা যদি আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করেন তবেই তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে। এ প্রেক্ষিতে মামুনুল ও সোহেল রানা কাল চিঠি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।