নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক এক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে আগেই আভাস দিয়েছিলো বদলে যাবার। এবার ঘরোয়া ফুটবলের কোন টুর্নামেন্টে প্রথম শিরোপা জিতে প্রমাণ করলো সত্যিই বদলে গেলো চট্টগ্রাম আবাহনী। শনিবার মৌসুম সুচক টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে শিরোপা জিতলো চট্টগ্রামের দলটি। এবার বদলে যাওয়া চট্টলা আবাহনীর লক্ষ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আগের দিন স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জয়ের আনন্দ গতকাল সারাদিনই ছিলো চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলারদের মাঝে। এদিন তারা কেউ কেউ কেনাকাটা করতে শপিংমলে গেছেন। কেউবা সিনেমা দেখতে হলমুখো হয়েছেন। আর কেউ আবার হোটেল রুমে শুয়ে-বসে দিন কাটিয়েছেন। মামুনুল ইসলাম, রায়হান হাসান, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্না এবং সোহেল রানা- আইনী জটিলতার কারণে চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট খেলতে পারেননি। কিন্তু তাতে কি? স্বাধীনতা কাপ শিরোপা জয়ের আনন্দ তাদেরকেও ছুয়েছে সমানভাবেই।
স্থানীয় কিছু উদীয়মান, দুয়েকজন অভিজ্ঞ তারকা ও অপরিচিত বিদেশী মুখ নিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন। চট্টগ্রামকে প্রথম শিরোপা জেতাতে পেরে দারুণ উচ্ছ¡সিত তিনি। জাহিদ বলেন, ‘ট্রফি জেতার উৎসব যেমন হয়, তেমনই হয়েছে। আমরা অনেক আনন্দ করেছি।’ স্বাধীনতা কাপ জেতার পর লক্ষ্যটা যেন আরও বেড়ে গেলো জাহিদদের। কারণ ২০১৩ সালে জাহিদ, এমিলিরা মিলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ট্রেবল শিরোপা জিতিয়েছিলেন। সেই কৃতিত্ব এবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে এনে দিতে চান জাহিদ। তিনি আরো বলেন, ‘শেখ রাসেলকে তো ট্রেবল শিরোপা জিতিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম আবাহনীকে চলতি মৌসুমে যতগুলো টুর্নামেন্ট ও লিগ হবে সবগুলোর শিরোপা জিতবো ইনশাল্লাহ।’
চট্টগ্রাম আবাহনীর ঘরে যেখানে আনন্দ জোয়ার বইছে, ঠিক তখন উল্টো চিত্র ঢাকা আবাহনীতে। রাজ্যের বিষাদ যেন ভর করেছে আরিফ, ওয়ালী ফয়সাল, জুয়েলদের চোখে-মুখে। দীর্ঘ পাঁচ বছর কোনো শিরোপার দেখা নেই। সর্বশেষ গত ২০১১ সালে সুপার কাপ এবং পরে লীগ শিরোপা জিতেছিলেন তারা। দীর্ঘ পাঁচ বছর শিরোপা খরায় ভুগছে আকাশি-হলুদ শিবির। অথচ এই টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবে খেলতে নেমেও শিরোপার দেখা মেলেনি তাদের। ডিফেন্ডার ফয়সালের কথা, ‘আসলে আমাদের কোচ দ্রাগান মামিচ হঠাৎ চলে যাওয়াতেই আমরা ফাইনালটা প্রত্যাশিত খেলতে পারিনি। মামিচ দলকে বেশ গুছিয়ে এনেছিলেন। আসলে বিগ ম্যাচ জিততে একজন বড় কোচের খুব প্রয়োজন। শুধু কোচই নয়, আমরা মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করেছি। তাই শিরোপা স্বপ্নের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হলো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।