নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া হকির মৌসুম সুচক টুর্নামেন্ট মার্সেল ক্লাব কাপের শিরোপা জিততে চায় আবাহনী লিমিটেড ও ঊষা ক্রীড়া চক্র। টুর্নামেন্টের ফাইনালে দু’দলই চায় নিজেদের সেরাটা দিয়েই জয় তুলে নিতে। আজ ক্লাব কাপের ফাইনালে মুখেমিুখী হচ্ছে আবাহনী ও ঊষা। বেলা তিনটায় মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
ক্লাব কাপ হকিতে ঊষা এবং মোহামেডান সমান চারবার করে শিরোপা জিতেছে। যেখানে আবাহনীর শিরোপা জয় দু’টি। ১৯৯৮, ২০০০, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ঊষা এবং ২০০৪ ও ২০০৮ সালে আবাহনী ক্লাব কাপের শিরোপা জয় করেছিলো। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নের চেয়ে রানার্সআপ ট্রফিই বেশী জিতেছে আবাহনী। পাঁচবার তারা ক্লাব কাপের রানার্সআপ ট্রফি ঘরে তুলেছে। টুর্নামেন্টের গেল দু’আসরে এই ঊষার কাছেই শিরোপা খোয়াতে হয়েছিলো আবাহনীকে। এবার তারা আর সেই পথে হাঁটতে চায় না। তাই তো আবাহনীর হকি ম্যানেজার মাহবুব এহসান রানা বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গড়েছি। প্রথম ম্যাচে কম্বিনেশনের কারনে সোনালী ব্যাংকের বিপক্ষে ড্র করেছি। তবে বাকি ম্যাচগুলো ঠিকই আমার দল দাপট দেখিয়েছে। উষার ফরোয়ার্ড লাইন আমাদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী। তারপরও আমাদের দলের প্রতিটা খেলোয়াড়ের উপর আস্থা রয়েছে। আবাহনী শিরোপা জিতলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। আসলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো যোগ্যতা রয়েছে আমার দলে।’
অন্যদিকে ক্লাব কাপ হকির হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলতে বদ্ধপরিকর ঊষা কেসি’র কোচ মামুন-উর রশীদ। আবাহনীর বিপেক্ষ ফাইনালকে সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘গত দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমরা। ক্লাব কাপের ইতিহাসে হ্যাটট্রিক শিরোপা কারো নেই। সোমবার (আজ) আবাহনীকে হারিয়েই সেই ইতিহাস গড়তে চায় আমার দল।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাই বলে আবাহনীকে মোটেই খাটো করে দেখছি না। তাদের মুল শক্তি পাকিস্তানি চার খেলোয়াড়। প্রচুর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। যে কোন সময়ই ম্যাচের মোড় ঘুুরিয়ে দিতে পারেন তারা। তবে এতে আমরা ভীত নই। আমাদেরও রয়েছে মালয়েশিয়ান চার খেলোয়াড়। আগের ম্যাচগুলিতে যারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তাছাড়া ঊষার বড় শক্তি স্থানীয় খেলোয়াড়রা। যারা অন্য যে কোন ক্লাবের জন্য ভীতির কারন। দলের সবাই নির্ভরযোগ্য। তাই শিরোপা উষার ঘরে যেতে বাধা দেখছি না। আমরা চাই ফাইনালটি ফাইনালের মতই হোক। উষা আক্রমণাতœ হকি খেলেই মৌসুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলতে বদ্ধপরিকর। আশা করি খেলোয়াড়রা তা করে দেখাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।