মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সৌর জগতের প্রান্তে গ্রহাণু রাজ্যে এটির অবস্থান। বয়সেও সম্ভবত সৌর জগতের সমান। ৩০ কিলোমিটার চওড়া বরফ-সদৃশ এই মহাজাগতিক বস্তু ‘আলটিমা টুলে’র দুরত্ব পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৪০ কোটি কিলোমিটার। ইংরেজি নববর্ষে দূরের এই ক্ষুদ্র গ্রহাণুর কাছে পৌঁছে এটির পাশ ঘেঁষে ছবি তুলতে তুলতে গিয়েছে নাসার মহাকাশযান ‘নিউ হরাইজ়ন’।
ঘন অন্ধকার, হিমায়িত ‘কুপিয়ার বেল্টের’ একেবারে শেষ সারিতে রয়েছে আলটিমা টুলে। প্লুটোর থেকেও অন্তত ১০০ কোটি কিলোমিটার দূরে। মহাকাশে মানুষের দেখাশোনার পরিধির মধ্যে দূরতম। নাসা জানিয়েছে, আলটিমা টুলের মতো কয়েক লাখ গ্রহাণু ঘুরে বেরাচ্ছে কুপিয়ার বেল্টে। এগুলি সম্পর্কে ঠিক মতো খোঁজ চালালে ৪৬০ কোটি বছর আগে সৌর জগতের সৃষ্টির সময় সম্পর্কে অনেক তথ্য মিলতে পারে।
নাসা জানিয়েছে, আয়ু ফুরনোর আগে কুপিয়ার বেল্টের আরও বেশ কিছু গ্রহাণু খুঁজবে ‘নিউ হরাইজ়ন’। অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন অ্যালেন স্টার্ন। তিনি বলেছেন, ‘আলটিমা এমন একটা ‘ডিপ ফ্রিজের’ মতো জায়গায় রয়েছে যে সেটির গঠন প্রথমে যেমন ছিল, ঠিক তেমনটি রয়েছে এখনও।’
নাসার এই ঐতিহাসিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ভারতীয় এক বিজ্ঞানীর। মুম্বাইয়ের শ্যাম ভাস্করন। ‘নিউ হরাইজ়ন’ কোন পথে আলটিমা টুলের দিকে যাবে, তা নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তার। ভাস্করন বলেছেন, ‘অভিযানটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ, আকারে অত্যন্ত ছোট, কালো ও সম্পূর্ণ অচেনা এই বস্তুটিকে খুঁজে পাওয়াই বেশ কঠিন।’
২০১৪ সালে হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপে প্রথম ধরা পরেছিল এর অস্তিত্ব। ২০১৫ সালে আলটিমার নিকটতম প্রতিবেশী প্লুটোর পাশ দিয়ে প্রথম উড়ে যায় ‘নিউ হরাইজ়ন’। সে অভিযান সফল হওয়ার পরেই আলটিমা টুলের দিকে নিউ হরাইজ়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে নাসা। মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৩২ হাজার মাইল বেগে ছুটছে ‘নিউ হরাইজ়ন’। আলটিমা টুলের বাইশশো মাইলের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে নাসার যানটি। আলটিমা টুলের গা ঘেঁষে যাওয়ার সময়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ৯০০টি ছবি তোলার কথা ‘নিউ হরাইজ়ন’-এর। তবে কী ভাবে সেটি আলটিমা টুলের কাছে যাচ্ছে, তা সরাসরি সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। কারণ, মহাকাশযানটি থেকে কোনও বার্তা পৃথিবীতে পৌঁছতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা। পৃথিবী থেকে কোনও নির্দেশ পাঠালেও তা ‘নিউ হরাইজ়ন’-এ পৌঁছতেও লাগছে ততটা সময়। ফলে এ নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করা সম্ভব নয় আপাতত। এমনকি, আলটিমা কেমন দেখতে তা-ও এখনও জানেন না বিজ্ঞানীরা। সোমবার ১২ লক্ষ মাইল দূর থেকে তোলা একটি অস্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। তবে সেটা একটিই বস্তু না একাধিক বস্তুর সমষ্টি, অসমান না মসৃণ — স্পষ্ট নয় তা। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।