বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নতুন নতুন যন্ত্রে আরও বেশি গতিশীল হয়েছে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। কমে গেছে জাহাজ ও কন্টেইনার জট। বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙ্গরে এখন নেই দীর্ঘ জাহাজের সারি। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ায় আমদানি-রফতানিতেও গতি এসেছে। দ্রæত সময়ে পণ্য খালাস হয়ে ভোক্তাদের কাছে যাচ্ছে। আর এতে করে আমদানি ব্যয়ও কমছে। তার সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মানে জটের কবলে পড়া-বহির্বিশ্বে এমন বদনামের অবসান হচ্ছে। বাড়ছে বন্দরের সুনামও।
গেল ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৬টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হয়। এ কারণে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন মাত্রা এসেছে। পহেলা ডিসেম্বর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে দৈনিক ভিত্তিতে নতুন রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আমদানি-রফতানি মিলিয়ে ওইদিন ১১ হাজার ৪৬ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয় বন্দরে। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড। নভেম্বরে মাসভিত্তিক রেকর্ডের পর দৈনিক রেকর্ড গড়লো বন্দর।
তার আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৪৩২ টিইইউএস কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছিল। নভেম্বর মাসে আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৬৫ হাজার ১৬৫ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয় বন্দরে। মাসের হিসেবে এটা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ড ছিল গত জুলাইয়ে, ২ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ টিইইউএস।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, নতুন ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন চালু হওয়ায় কন্টেইনার ওঠানামা বেড়েছে। বন্দরে প্রতিটি জাহাজের গড় অবস্থানকালও কমে আসছে। তিনি বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় এসব রেকর্ড অর্জন সম্ভব হয়েছে।
শিপিং বাণিজ্যে কন্টেইনারযোগে পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় ৪২ বছর পূর্বে ১৯৭৬ সালে। তখন মাত্র ৬টি কন্টেইনার ওঠানামা (হ্যান্ডলিং) দিয়েই এর সূচনা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে গত ২০১৭ সালে রেকর্ড পরিমাণে আমদানি-রফতানিমুখী কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছে। এ সময় ২৫ লাখ ৬৩ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। গত ২০১৬ সালে হ্যান্ডেল হয় ২৩ লাখ ৪৬ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার, বিগত ২০১৫ সালে ২০ লাখ ২৪ হাজার, ২০১৪ সালে ১৭ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার। প্রতিবছর কন্টেইনারে প্রবৃদ্ধি ঘটছে। আরও কিছু নতুন ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আর তখন বন্দরের গতিশীলতা আরও বাড়বে এমন প্রত্যাশা বন্দর সংশ্লিষ্টদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।