Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈঠকে বসার জন্য মুনের কাছে কিমের চিঠি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনকে চিঠি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। চিঠিতে কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে নতুন বছরে মুনকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে এই দুই নেতা তিনবার দেখা করেছেন। চিঠি প্রাপ্তির কথা জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, কিম শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
চিঠি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট মুন বলেছেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা পোষণ করে নতুন বছরে সাক্ষাৎ করার জন্য কিমের আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আন্তরিকতা নিয়ে দেখা করি, যেকোনো কিছু অর্জন করা অসম্ভব নয়। এই জায়গায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। আর এই এক বছরে বদলে গেছে অনেক কিছু।’ তিনি জানান, নতুন বছরে কিমকে স্বাগত জানাতে তিনিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কিম ও মুনের চতুর্থ বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী সিউল সফরে যেতে না পারায় চিঠিতে দুঃখ প্রকাশ করেন কিম। তবে অচিরেই সিউল সফরের তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ছয় দশকেরও বেশি সময়ের বৈরিতাকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিলে পানমুনজম গ্রামে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন কিম ও মুন। আর এর মধ্য দিয়েই ৬৫ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রথম কোনো রাষ্ট্রনায়ক দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন। দুই নেতা যৌথ ঘোষণায় ১৯৫০ সালে শুরু হওয়া কোরীয় যুদ্ধের ইতি টানেন। তবে এখনো শান্তিচুক্তি হয়নি। ২৬ মে পানমুনজমে দ্বিতীয় বৈঠকে বসেন দুই নেতা। আর তৃতীয় বৈঠকটি ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে হয়। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার আরেকটি বড় বিষয় হলো পরস্পরের প্রতি হুমকি-ধমকি আর কথার লড়াই বন্ধ করে গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠকে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। সূত্র: সিএনএন



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুনের কাছে কিমের চিঠি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ