মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন ইংরেজি নববর্ষ পালন না করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ‘ইসলামসম্মত নয়।’ উৎসবের বদলে ইবাদত-বন্দেগিতে রাতটি কাটাবার আহ্বান তাদের। সরকারি ঘোষণার পাশাপাশি ইসলাম ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের পক্ষ থেকেও নববর্ষ পালনের বিরুদ্ধে এমন প্রচারণা চলছে। দেশটির সংবাদ মাধ্যম জাকার্তা পোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েকটি অঞ্চলে নববর্ষ পালন না করার আদেশের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর হওয়া সুনামির প্রসঙ্গ। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমমর্মিতা প্রদর্শনের জন্য বাসিন্দাদের আতসবাজি জ্বালানো ও গাড়ির শোভাযাত্রা বের করার মতো কাজে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শরিয়া আইনে চলা আচেহ প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর নোভা ইরিয়ানশিয়াহ এক বিজ্ঞপ্তি বলেছেন, ‘নববর্ষ উপলক্ষে গাড়ির রেস, ঢোল পেটানো, বাঁশি বাজানো, আতসবাজি জ্বালানোর মতো কাজ যা শরিয়তবিরোধী এবং সংস্কৃতির সঙ্গে আসামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছেন সেখানকার এক ধর্মীয় নেতা। মুরসালিন বাসিয়াহ নামের ওই বক্তা রবিবার লামপিউনেরাতে অবস্থিত ফাইজিন মসজিদে বলেছেন, ‘এককভাবে বা সবাই মিলে ইংরেজি নববর্ষ পালন স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে ইসলাম। সব প্রজন্মের মুসলমানদের এ তথ্য জানাতে হবে।’ উত্তর মালুকুর গভর্নর আব্দুল গনি কাসুবা বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন বছরের শেষ দিনটি ধর্মীয় কাজে ব্যয় করেন। আতসবাজি না পুড়িয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া চান। অন্যদিকে উত্তর মালুকুর টারনেট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৩১ ডিসেম্বর সারা রাতজুড়ে ধর্মীয় প্রার্থনা অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। পশ্চিম কালিমানতানের সাম্বাস রিজেন্সি এবং দক্ষিণ সুলাওয়েসির মাকাসসার পৌরসভা কর্তৃপক্ষও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ কমিটির’ সাম্বাস শাখার প্রধান নুগ্রা ইরানতা দেনাশুরিয়া ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে উৎসব পালন না করার ডাকের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, বিশেষ করে এমন সময়ে উৎসব পালন ঠিক নয় যখন ইন্দোনেশিয়ার বহু মানুষ সুনামি ও ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুবু রায়া প্রশাসনের মুখপাত্র এলফিয়ানা ওয়ারদানি বাসিন্দাদের আতসবাজি না জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, স্থানীয় নেতা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ‘অনুৎপাদনশীল’ কাজে সময় ব্যয় না করতে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেন। তাদের প্রত্যাশা, জনগণ উৎসবের বদলে প্রার্থনায় রত থাকবেন নববর্ষ উপলক্ষে। গত ২২ ডিসেম্বর সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দক্ষিণ লামপুং রিজেন্সির কর্তৃপক্ষ নববর্ষ পালন নিয়ে বলেছে, জনগণের উচিত পার্টি না করে প্রার্থনা করা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।