মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
থাইল্যান্ডে সাতদিনের সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশটির মহাসড়কে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত ছুটির প্রথম তিনদিনেই প্রাণ হারিয়েছে ১৮২ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ছুটির দিন উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডে সবাই বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বিভিন্ন শহর ঘুরতে যায়। ফলে মহাসড়কে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এছাড়া তাদের অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালান। থাই পুলিশ এই সাতদিনকে ‘সেভেন ডেঞ্জারাস ডে অব নিউ ইয়ার’ বলে ঘোষণা করেছেন। গত বছর এই তিনদিনে নিহত হয়েছিলেন ১৬৭ জন। আর সাতদিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪২৩ জন। গত তিনদিনে থাইল্যান্ডে মোট ১ হাজার ৬৩৩টি দুর্ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সময়ে থাইল্যান্ডই সবচেয়ে বিপজ্জনক। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়লেও প্রতিবছর দুর্ঘটনার হার কমছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেতনে বলা হয়, প্রতি এক লাখে দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ৩২.৭ শতাংশ। এরপরেই আছে ভিয়েতনাম। সেখানে এই হার ২৬.৭। এই অঞ্চলে সবচেয়ে নিরাপদ সিঙ্গাপুর। সেখানে প্রতি এক লাখে ২.৮ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। যুক্তরাজ্যে এর হার ২.৯। পুলিশ জানায়, ৪০.৯ শতাংশ দুর্ঘটনাই ঘটে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য। ২৭.২ শতাংশ হয় অতিরিক্ত গতির কারণে। দুর্ঘটনায় পড়া তিন-চতুর্থাংশই মোটরবাইক। হেলমেট না পড়ার কারণে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৫২ বাইকারকে আটক করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোয় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ হাজার ৬৪৯ জন চালক। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো কমাতে কর্তৃপক্ষ অভিযান চালাচ্ছে। ক্যামেরা ব্যবহার করছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ, সড়ক আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকাতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ৫১ শতাংশ মোটরবাইক চালক হেলমেট পরিধান করে এবং ৫৮ শতাংশ গাড়িচালক সিটবেল্ট বাঁধেন না। দেশটির সাবেক যোগাযোগ উপমন্ত্রী ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারী নিক্রোন চ্যামং বলেন, নিরাপত্তা আইন আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করলেও মানুষ সতর্ক হবেন। আর নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারণা চালু রাখতেই হবে। শুধু এই সাতদিন না, সারাবছরই এমন প্রচারণা কার্যক্রম চলা উচিত
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।